পৃথিবীতে সব হিমবাহের আকার তো সমান নয়। অপেক্ষাকৃত ছোট যেগুলো, সেগুলো ২১০০ সালের মধ্যেই গলে শেষ হবে। কিন্তু হিসেব অনুযায়ী মোট হিমবাহের অর্ধেক সেটা। কালপ্রিট অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন। কিন্তু বাকি হিমবাহ টিকে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, এমন দাবি এক গবেষণায় করা হল।
গত বৃহস্পতিবার, সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্র। এতদিনের মধ্যে সারা বিশ্বের মোট ২১৫০০০ হিমবাহের উপর এটাই সবচেয়ে বিশদ বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ। এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা। অসলো বিশ্ববিদ্যালয় আর আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা সম্মিলিতভাবে একটা সিমুলেশন বানিয়েছেন।
কিন্তু কী কী পরামর্শ দিলেন ঐ বিশেষজ্ঞরা? স্বাভাবিকভাবেই গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ কমাতে হবে। তাতে বরফ গলার হার অবশ্যই কমবে। সামগ্রিকভাবে হিমবাহ যদি সংরক্ষণ করা যায় তাহলে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধির ভয় খানিকটা কমবে। সাথে স্বাদুজলের ভাণ্ডার শেষ হয়ে যাওয়ার যে ফাঁড়া ঝুলছে বিশ্ববাসীর উপরে, তাও কিছুটা কাটবে।
বিভিন্ন দেশের ও আন্তর্জাতিক সংস্থার নীতি নির্ধারণে যাতে সুবিধা হয় সেই জন্যেই গবেষকরা চার ধরণের অবস্থা ব্যাখ্যা করেছেন। উষ্ণতাবৃদ্ধি কেমন এবং কতটা হতে পারে তার উপর নির্ভর করে এই ভাগ। গড় তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে কী হবে, ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিংবা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে কতটা গলবে হিমবাহের বরফ সেটা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে গবেষণাপত্রে।
অসলো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রেজিন হক ছিলেন অন্যতম মুখ্য গবেষক। তিনি বলছেন, প্রত্যেক ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়লে বরফ গলা বাড়বে, সাথে ত্বরান্বিত হবে ক্ষতির বহরটাও।