আধুনিক মানুষ যে হোমো সেপিয়েন্সে প্রজাতির, সে প্রজাতির প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে যে উপাদান ছিল, সে উপাদান পূর্বের ভাবনা থেকেও অন্তত ৩৬০০০ বছর আগের বলে সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে। পূর্ব আফ্রিকার ইথিওপিয়ার ওমো নদীর সাথে সৃষ্টি কিবিশ শিলাখণ্ডে ১৯৬৭ সালে পাওয়া গেছিলো হোমো সেপিয়েন্স প্রজাতির মাথার খুলি ও অন্যান্য কঙ্কাল অংশ। এতদিনের ধারণা ছিল ঐ খুলি ও কঙ্কাল অংশ মোটামুটি ২৩৩০০০ বছরের প্রাচীন। নতুন গবেষণা বলছে সময় পর্বটা আরো ৩৬ হাজার বছর পিছনের। ২লক্ষ বছরের প্রাচীন ইথিওপিয়ান ফসিলের যুগটি ওমো১ নামে পরিচিত। নতুন গবেষণা জানাচ্ছে এই ইথিওপিয়ান ফসিলের সাথে কিছু পূর্ব সময়ের যে ফসিলের নৃতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য মিলে যচ্ছে। সেই সূত্রে গবেষকরা জানাচ্ছেন হোমো সেপিয়েন্স প্রজাতি আফ্রিকায় কমবেশি ৩০০০০০ বছর আগে থেকে বিবর্তিত হতে শুরু করেছিল।কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নুৎপাতবিদ সেলিন ভিডাল জানাচ্ছেন প্রায় ২৩৩০০০ বছর আগে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত পলির ওপর ছাইয়ের একটি স্তর সৃষ্টি করেছিল, যা ওমোতে হোমো সেপিয়েন্সের জীবাশ্ম তৈরি করেছিল। ঐ আগ্নেয় লাভার স্তরের মধ্যে একটি আঙুলের ছাপ পাওয়া গেছে। গবেষকরা দেখেছেন সেই আঙুলের ছাপ প্রায় ৩৫০ কিমি উত্তর পূর্বের আগ্নেয়গিরি জাত ফসিল অঞ্চলের সাথে মিলে যাচ্ছে। উত্তর পূর্বের আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাতের ফলে লাভা ওমো অব্দি ছড়িয়ে গেছিল বলেই গবেষকদের অনুমান। এবং এই উত্তর পূর্বের আগ্নেয়গিরি জাত অগ্নুৎপাত থেকে সৃষ্ট আগ্নেয় শিলায় পাওয়া হোমো সেপিয়েন্স ফসিলের রেডিও কার্বন ডেটই আগের অনুমান থেকে অন্তত ৩৬০০০ হাজার বছরের প্রাচীন বলে চিহ্নিত করছে। গত ১২ ই জানুয়ারি গবেষকরা নেচার পত্রিকায় এ সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন। ভিডাল বলেছেন আরো বিস্তৃত গবেষণা প্রমাণ করবে অগ্নুৎপাত জাত শিলার কারণেই হোমো সেপিয়েন্সের ফসিল সৃষ্টি হয়েছিল কি না।