সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডে বরফের পাত গলে যাওয়ার ফলে হিমবাহের তলদেশে বা সাবগ্লাসিয়াল জলের স্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে বরফের পাতের স্থিতিশীলতা এবং বিশ্বব্যাপী সমুদ্রের জল স্তর বৃদ্ধির উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পরতে পারে। সাবগ্লাসিয়াল জল হল হিমবাহ এবং বরফের পাতের তলদেশে যে জল বিদ্যমান। এই জল বরফ এবং তুষার গলে তৈরি হয় এবং চ্যানেল, হ্রদ এবং নদীতে পাওয়া যায়। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই জল বরফের পাতকে মসৃণ করে যার ফলে সহজেই বরফ পিছলে বা স্লাইড করে সমুদ্রের দিকে প্রবাহিত হয়। গবেষকরা মনে করেন যদি বরফের পাত খুব বেশি গলে যায়, তবে সেই জল আটকে পড়বে এবং একটা চাপ তৈরি করবে। ফলত সাবগ্লাসিয়াল হ্রদ তৈরি হতে পারে এবং বরফের পাত ধীরে ধীরে ধসে পড়তে পারে। বিজ্ঞানীরা উপগ্রহের ছবি, রাডার এবং সিসমিক সেন্সর সহ বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ডের সাবগ্লাসিয়াল জলের উপর নজর রেখেছেন। তারা দেখেছেন যে সাবগ্লাসিয়াল জলের পরিমাণ বাড়ছে এবং জলের চাপও বাড়ছে।
এই গবেষণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ বরফের পাত গলে যাওয়ার সাথে সম্পর্কিত সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলোকে এখানে তুলে ধরা হয়েছে।যদি বরফের পাতগুলো পাতলা হতে থাকে, তবে সাবগ্লাসিয়াল জল তার স্থিতিশীলতা হারাবে এবং আরও ঘন ঘন বড়ো বরফের চাদর ধসে পরবে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে এবং উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসকারী সম্প্রদায়ের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পরবে। এই বিষয়টি ভবিষ্যতে আমাদের গ্রহের উপর কীভাবে প্রভাব ফেলবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি হ্রাস করার জন্য কী পদক্ষেপ নিতে হবে সে বিষয়ে অবিলম্বে গবেষণা প্রয়োজন।