হার্ভার্ড গবেষকরা ২০১৪ সালে পৃথিবীর মহাসাগরে পড়েছে, এমন উল্কার ভাঙা টুকরো আবিষ্কার করেছেন যা বহির্জাগতিক জীবনের সম্ভাবনা সম্পর্কে একটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই আবিষ্কার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্পদার্থবিদ আভি লোয়েব এবং তার দল পাপুয়া নিউ গিনির কাছে পৃথিবীর সমুদ্রের তলদেশে আবিষ্কার করেছেন।
উল্কা থেকে ৫০ টুকরো খণ্ড উদ্ধার করার পর, গবেষকদের দল দেখেছেন যে এদের গঠন এবং বস্তু আমাদের সৌরজগতের কোনো পরিচিত ধাতুর মত নয়। এটা কি উল্কাখণ্ড নাকি একটা উন্নত অজানা সভ্যতার দ্বারা তৈরি কোনো প্রযুক্তিগত যন্ত্র হতে পারে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল। তবে উদ্ধার হওয়া টুকরোগুলো খুব ছোটো, বড়ো কোনো টুকরো পাওয়া গেলে এ রহস্যের কিছুটা সমাধান সম্ভব হতে পারে।
তবে এই টুকরো খুঁজে পাওয়া ছোটোখাটো কোনো বিষয় নয়। সমুদ্রের এক মাইল নীচে কোথায় কীভাবে এই উল্কাখণ্ড পড়ে রয়েছে তা খুঁজতে আনুমানিক ১.৫ মিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে। গবেষকের দল একটা জাহাজের সাথে সংযুক্ত একটি চৌম্বকীয় স্লেজ যুক্ত করেছিল যাতে এই ধরনের গভীর-সমুদ্রে খণ্ডগুলি অনুসন্ধান করে পুনরুদ্ধার এবং সংগ্রহ করা যায়।
গবেষক আভি লোয়েব এবং আমির সিরাজ বলেছেন যে আন্তঃনাক্ষত্রিক মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে পৌঁছানো বস্তুর তরঙ্গ থেকে এরকম ইঙ্গিত আসতে পারে যে আমাদের গ্রহে জীবনের বীজ অন্য কোনো নক্ষত্র থেকে উদ্ভূত হয়েছে। বহির্জাগতিক জীবনের অস্তিত্বে লোয়েবের নিজস্ব বিশ্বাস আছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানী জন্টি হর্নার এবং স্টিভেন টিংগে সহ কিছু বিশেষজ্ঞও বর্হিজাগতিক অজানা জীবনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন। NASA – র অ্যাস্ট্রোবায়োলজিস্ট লিন্ডসে হেইস মহাবিশ্বের বিশালতা এবং মানুষের অন্বেষণের সীমিত পরিধিকে স্বীকার করে নিয়ে, আরো অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
যাইহোক উল্কা থেকে উদ্ধার করা এই টুকরোগুলো, বহির্জাগতিক জীবনের অস্তিত্ব বোঝার চাবিকাঠি হোক বা না হোক তা প্রাকৃতিক মহাকাশীয় জটিল ঘটনার ক্ষেত্রে নতুন ভাবনা চিন্তার সূচনা করতে পারে।