হাতের তালুতে এক মায়াবী পদার্থ স্প্রে করে দিলেই কেল্লাফতে। হাতের নড়াচড়া, আঙুলের গতিবিধি আগামী মুহূর্তে ঠিক কোনদিকে হতে চলেছে তা বলে দেবে যন্ত্রই। নেচার পত্রিকার ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবী করা হল সম্প্রতি। হইচই পড়ে গেছে বিজ্ঞান-আগ্রহীদের মধ্যে।
আপাতত গবেষকরা একটা প্রোটোটাইপ তৈরি করেছেন। সাধারণ বস্তুকে স্পর্শের মাধ্যমে চিনতে পারছে এই মহড়া-যন্ত্র। এমনকি অদৃশ্য কিবোর্ডে দুহাতে করা টাইপিংও আন্দাজ করতে পেরেছে এই আশ্চর্য যন্ত্র।
নেপথ্যে রয়েছে বৈদ্যুতিকভাবে সংবেদনশীল একটা মেশ নেটওয়ার্ক। কিন্তু এই পদার্থটা স্প্রে করা যায়। সোনায় মোড়া লক্ষ লক্ষ রূপোর তৈরি ন্যানোওয়ার যেগুলো গ্রথিত রয়েছে পলিইউরেথিনে। কল্পনা করলে বিশেষ জেলির মতো দ্রব্য। সেটা হাতের ভাঁজে লেগে যায়। সাবান জলে না ধুলে লেগেই থাকে। তারপর? বিবরণ দিচ্ছেন অ্যামেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক ঝেনান বাও।
ঐ জেলির মতো পদার্থ হাতে লেগে থাকা অবস্থায় আঙুলের নড়াচড়া হলেই মেশটাও এদিকওদিক হয়। ফলে ওর ভেতরে থাকা ন্যানোওয়ার দুমড়ে মুচড়ে যায় আর একে অপরের থেকে দূরে চলে যায়। মেশের বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা পাল্টায়। এই সূক্ষ্ম পরিবর্তন যন্ত্রের মধ্যে বিশ্লেষণ করলেই হাতের, আঙুলের বা গাঁটের পরবর্তী গতিবিধি আন্দাজ করা যায়।