বেলুনের সাথে জোড়া আছে মাইক্রোফোন। সেই বেলুনই আকাশে ২০ কিলোমিটার উপর দিয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে। ওই অঞ্চলটা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। মাটি থেকে ১০-৫০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে আকাশের একটা স্তর। ঝড়ঝঞ্ঝার বিপদ নেই, ঘনঘন উড়োজাহাজের যাতায়াত নেই। নতুন কোনও শব্দ শোনার পক্ষে আদর্শ জায়গা।
সমুদ্রে ধাক্কা লাগা গম্ভীর ঢেউয়ের আওয়াজ, বজ্রপাতের শব্দ, কিংবা বায়ুকলের টারবাইনের একটানা ধ্বনি – এখান থেকে সবই শোনা যেতে পারে। কিন্তু মার্কিন বিজ্ঞানীরা ওই বেলুনের মাইক্রোফোনে এমন শব্দ ধরেছেন যা মোটেই শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
স্যান্ডিয়া ন্যাশানাল ল্যাবরেটরিজের বিজ্ঞানী ড্যানিয়েল বওম্যান বলছেন, উড়ানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় কয়েকবার মৃদু শব্দতরঙ্গ তৈরি হয়, কিন্তু এটা সেই শব্দ নয়। নতুন এই ভুতুড়ে শব্দের উৎস জানা নেই বলে স্বীকার করে নিয়েছেন বওম্যান। ইনফ্রাসাউন্ড ওয়েভ, অর্থাৎ মানুষের শোনার পরিসরের তুলনায় কম তীব্র শব্দ যা যন্ত্রে ধরা পড়ে কিন্তু কানে শোনা যায় না।
এই বেলুনগুলো সৌরশক্তিতে চলে। ব্যাস ছয় অথবা সাত সেন্টিমিটার। স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে কেবল শব্দ শোনার জন্য নয়, বরং মহাজাগতিক তরঙ্গের কার্যকলাপ ধরার জন্যেও এগুলো পাঠানো হয়েছে। বওম্যান বলছেন, বেলুনগুলো সাধারণ প্লাস্টিক ব্যাগের মতোই, আকারে যদিও সুবিশাল। ভেতরে কাঠকয়লার গুঁড়ো ভরা আছে যাতে বাইরে থেকে কালো লাগে, সহজে শনাক্ত না করা যায়।