গরম জামা তো ওদের নেই। কিংবা হালফ্যাশানের থার্মোকটও পরে না স্কুইডরা। তবে কীভাবে সমুদ্রের বদলাতে থাকা তাপমাত্রার সাথে এই বিশাল চিংড়ির মতো দেখতে প্রাণীরা মানিয়ে নেয়?
নতুন এক গবেষণা বলছে আজব কথা – স্কুইডরা নাকি তাদের আরএনএ চিমটি কেটে এদিকওদিক করে নিতে পারে! এও কি সম্ভব? সাধারণভাবে ডিএনএ-র মধ্যে থাকা জেনেটিক নির্দেশগুলো বার্তাবাহী বা মেসেঞ্জার আরএনন-তে ঠিকঠাক কপি করে রাখা থাকে। তারপর সেখান থেকে সেই নির্দেশ যায় প্রোটিনে।
কিন্তু স্কুইডের মতো নরম দেহের কোনও কোনও সেফালোপড প্রাণীরা তাদের বার্তাবাহী আরএনএ-র মধ্যে বেশ কয়েকটা দরকার মতো পাল্টে নিতে পারে (এডিট করে নেওয়া)। যাতে প্রোটিনের মধ্যে কিছুটা পৃথক গঠনগত উপাদান থাকে। যা ডিএনএ-র নির্দেশ মোতাবেক নয় মোটেই।
অ্যামেরিকান সোসাইটি ফর সেল বায়োলজি আর ইউরোপিয়ান মলিকিউলার বায়োলজি অর্গানাইজেশনের যৌথ সম্মেলন, বা সেল বায়ো ২০২২-য়ে অণুজীববিজ্ঞানী কবিতা রঙ্গন বললেন, এইসব প্রাণীর শরীরে ৬০ বা তার বেশি শতাংশ প্রোটিনই আসলে নতুন করে কোড করা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় স্তন্যপায়ীদের ক্ষেত্রে আরএনএ এডিট করার প্রবণতা একেবারেই নেই বললেই চলে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সান ডিয়েগো ক্যাম্পাসের বিজ্ঞানী শ্রীমতী রঙ্গন গবেষণা করে দেখেছেন কোন ধরণের প্রভাব এই এডিটিং এর জন্যে পড়ে প্রোটিনের উপর। ঘটনাটাকে বলা হয় কাইনেসিস। রঙ্গন দেখেছেন, ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার ঠাণ্ডা জলে স্কুইডের কাইনেসিস, ২০ ডিগ্রি তাপমাত্রার তুলনামূলক উষ্ণ জলের চেয়ে পৃথক। এই ফারাক তৈরি করেই ঠাণ্ডা জলে টিকে থাকার অবাক করা ক্ষমতা অর্জন করেছে স্কুইডরা।