লোহিত সাগরের জল আড়াআড়ি চিরে ফেলা নয়। কিন্তু সমুদ্রের জলের অণুকে ভাগ করে হাইড্রোজেন তৈরি করা সম্ভব। পরিকল্পনা সফল হলে সেটা অবশ্যই একটা বৈজ্ঞানিক চমৎকার। তাতে জীবাশ্ম জ্বালানীর উত্তরোত্তর ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ-সহায়ক বিকল্পের দিকে আসা সম্ভব।
অ্যাডিলেড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক শি-ঝাং কিয়াও এই প্রকল্পের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, সমুদ্রের জলের অণুকে ভেঙে প্রায় একশো শতাংশ কার্যকারিতার সাথে অক্সিজেন আর হাইড্রোজেন উৎপাদন করা গেছে। তড়িৎ বিশ্লেষণের সাহায্যে করা এই পদ্ধতিতে কমদামি আর সহজলভ্য অনুঘটক ব্যবহার করা হয়েছিল।
কিন্তু তড়িৎ বিশ্লেষণ এমন একটা প্রক্রিয়া যেখানে জলের অণুকে বিয়োজিত করার কাজে বিদ্যুৎ শক্তির প্রয়োজন হয়। সাথে দরকার লাগে অনুঘটকের। এতদিন পর্যন্ত অনুঘটক হিসেবে ইরিডিয়াম, রুথেনিয়াম কিংবা প্যালাডিয়ামের মতো বিরল মৌল ব্যবহার করা হত। এগুলোর দাম অত্যন্ত বেশি। কিন্তু প্রোফেসর কিয়াও বলছেন, ক্রোমিয়াম অক্সাইডের আস্তরণযুক্ত কোবাল্ট অক্সাইডকে এই ক্ষেত্রে অনুঘটক রূপে কাজে লাগানো হয়। এটা তুলনামূলক ভাবে সস্তা। গ্রিন হাইড্রোজেন উৎপাদনের নতুন এই প্রক্রিয়ার বিশেষত্ব ঠিক এখানেই। ক্রোমিয়াম অক্সাইডের মতো একটা লুইস অ্যাসিডকে বিক্রিয়ায় ব্যবহার করা হয়েছে।