সাগর মহাসাগরে কখন কোন সুনামি, ঘূর্ণিঝড় কিংবা অন্য বিপদ আসে তার উপর নজরদারির জন্য নানা যন্ত্রপাতি কাজে লাগানো হয়। উপকূলবর্তী জনপদ এতে সুরক্ষিত থাকে। দুর্যোগের সময় তাদের অন্যত্র উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হয়। কিন্তু এইসব যন্ত্র আর সেন্সরের ব্যাটারিতে যদি চার্জ ফুরিয়ে যায়? তাহলে? তাহলে তো সমুদ্রের ঢেউ বা জলোচ্ছ্বাস থেকে আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও তথ্যই আর মিলবে না।
এই সমস্যা সমাধান হয়তো সাধ্যের মধ্যেই। সমুদ্রের মাঝখানে জাহাজের পাটাতনে রাখা যন্ত্রপাতি আর সেন্সরের ব্যাটারি পালটানো সহজ কাজ নয় মোটেই, খরচসাপেক্ষও বটে। কেমন হত যদি এইসব যন্ত্র চার্জ করা সম্ভব হয় সমুদ্রের ঢেউয়ের শক্তি দিয়েই।
এই পরিকল্পনা যদিও আজকের নয়। এবার সেটাকেই বাস্তবে রূপ দিতে উদ্যোগী হয়েছেন প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ন্যাশানাল ল্যাবরেটরির গবেষকরা। নতুন একটা পাওয়ারহাউস তৈরি করা হয়েছে। একটা চোঙাকার ট্রাইবোইলেকট্রিক ন্যানোজেনারেটর। এটার মাধ্যমেই ঢেউয়ের শক্তি বিদ্যুতশক্তিতে রূপান্তরিত করা হবে। এই জেনারেটরের বড়ো কোনও সংস্করণ অন্যত্র কাজে লাগানো যেতে পারে। সেটা সাগরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা পরিচালনা করতে ব্যবহৃত হবে।
প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ন্যাশানাল ল্যাবরেটরি-র গবেষক ড্যানিয়েল ডেং বলছেন, ট্রাইবোইলেকট্রিক ন্যানোজেনারেটর আসলেই খরচা কমাবে অনেকটা। এমনকি ধীরগতির সুষম কিংবা এলোমেলো ঢেউ থেকেও শক্তি উৎপাদন করতে পারবে। বিশেষত উপকূল থেকে অনেকটা দূরে, মুক্ত সমুদ্রে যেখানে যন্ত্রপাতি আর সেন্সর চালু রাখাটা বেশি জটিল।