গত চার দশক ধরে ক্ষতিগ্রস্ত ওজোন স্তরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানর চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক একটা গবেষণাপত্রে আশাপ্রদ খবরও পাওয়া গিয়েছিল। ধীরে ধীরে নাকি ঠিক হচ্ছে ওজোনমণ্ডল। কিন্তু সেই সাফল্যকে ফিকে করে দিচ্ছে আরেক বিপদ। মুড়িমুড়কির মতো রকেট উৎক্ষেপণ।
শেষ পাঁচ বছরের হিসেব বলছে, বার্ষিক ৯০টা থেকে রকেট উৎক্ষেপণের সংখ্যাটা পৌঁছে গেছে ১৩০-এ। এবং সংখ্যাটা যে কমবে না আগামী কয়েক দশকে, সেটা হলফ করে বলে দেওয়া চলে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল রকেট উৎক্ষেপণের বিরূপ প্রভাব নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে কোনও নির্দিষ্ট নিয়ন্ত্রণবিধি নেই। এমনকি সাধারণভাবে কোনও নজরদারির ব্যবস্থাও নেই।
নিউজিল্যান্ডের রয়্যাল সোসাইটির জার্নালে এমনই এক ভীতিপ্রদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হল। পৃথিবীর স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যে ওজোন স্তরে শোষিত হয়, সেই অঞ্চলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে রকেট উৎক্ষেপণ। স্পষ্টভাবেই অভিযোগ করা হয়েছে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সমেত।
গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের ক্যানটারবারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ-পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ডঃ লরা রেভেল। ওনার ভাষায়, এখনও অবধি রকেট উৎক্ষেপণের ফলে ওজোন স্তরে ক্ষতির পরিমাণটা অল্পই। কিন্তু দিনের পর দিন যেভাবে বাণিজ্যিক উদ্যোগে বেসরকারি রকেট উৎক্ষেপণের রমরমা বাড়ছে তাতে সমস্যাটা দ্রুত খুব বেড়ে যেতে পারে। বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকেও মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর ধূম পড়ে গেছে।
ডঃ রেভেল আক্ষেপের সুরে বলছেন, ওজোন স্তরের উন্নতি সারা পৃথিবীর জন্যেই একটা সাফল্যের বিষয় ছিল। কিন্তু রকেটের ক্ষতির দিকটা এতদিন আমরা পুরোপুরি এড়িয়ে গেছি।