প্রাণীজগতে বিভিন্ন সদস্যদের শরীরে শোভা পায় নানাধরনের পালক, পশম বা আঁশ। ভাবতে অবাক লাগে যে এগুলো সবই একটাই মৌলিক উপাদান দিয়ে তৈরি। তবে একটা থেকে অন্যটা তৈরি হতে লাগে জিনের পরিব্যক্তি বা মিউটেশন, বিজ্ঞানীদের ভাষায় বলা যায় ‘জেনেটিক টুইক’।
Shh জিন সোনিক হেজহগ নামে একধরনের প্রোটিন তৈরির নির্দেশ দেয় যা ভ্রূণের বিকাশের জন্য অপরিহার্য। কোশের বৃদ্ধি, বিশেষীকরণ এবং শরীরের স্বাভাবিক গঠনেও এর ভূমিকা রয়েছে। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস-এ প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে জানা যায় এই Shh জিনের উপর ভিত্তি করে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনতত্ত্ববিদ মিশেল মিলিনকোভিচ এবং ররি কুপার গবেষণা করেন। তারা দেখেন যে এই জিনের মাধ্যমে তারা মুরগির ভ্রূণ স্তরে পরিবর্তন আনতে পারেন যার সাহায্যে মুরগির পায়ে আঁশের পরিবর্তে পালক গজাবে।আর এই পরিবর্তন স্থায়ী। একবার ডিম ফুটে মুরগির ছানা বেরোলে এই অস্বাভাবিক পালকযুক্ত পা সারাজীবন এভাবেই থাকবে। পায়ে গজানো এই পালকগুলো মুরগির দেহের অন্য পালকের মতোই। মুরগির ছানার নরম তুলোর মতো পালক যেমন সময়ের সাথে সাথে বাইরের দিকে শক্ত আবরণ পালকে রূপান্তরিত হয়, এই পালকগুলোও অনেকটা একইরকম।
মিলিনকোভিচের মতে আঁশ থেকে পালকের এই বিবর্তন জন্য জিনের কোনো বড়ো রকমের পরিবর্তনের প্রয়োজন হয় না। বরং Shh জিনের অভিব্যক্তিতে একটা ছোটো পরিবর্তন, পরপর কিছু বিবর্তন ঘটায় যার ফলে আঁশের বদলে পালক তৈরি হয়।