মাউন্ট সিনাই স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষকরা হার্ট অ্যাটাক বা অন্যান্য আঘাতের পরে মায়ের হার্টকে পুনরুদ্ধার করার জন্য ভ্রূণের স্টেম সেল ব্যবহার করেছেন। গবেষণাটি কার্ডিয়াক রিজেনারেটিভ মেডিসিনের একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত। এই ধরণের গবেষণায় প্রথম, মাউন্ট সিনাই গবেষকরা দেখেছেন যে হার্ট অ্যাটাকের পরে প্লাসেন্টা থেকে ভ্রূণের স্টেম কোশ মায়ের হৃৎপিণ্ডে স্থানান্তরিত হয়। তারপর স্টেম সেল হার্টের কলার মেরামত করতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানীরা দেখেন যে ভ্রূণের কোশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হৃৎপিণ্ডের কোশে রূপান্তরিত হয়। পূর্ববর্তী গবেষণায় দেখা গেছে যে কিছু সংখ্যক মহিলাদের যাদের পেরিপার্টাম কার্ডিওমায়োপ্যাথি নামক এক ধরনের হার্ট ফেইলিউর ঘটে, গর্ভধারন করার কিছু সময় পর থেকে তাদের হার্টের অবস্থার উন্নতি হতে থাকে। এই প্রমাণের উপর ভিত্তি করে, মাউন্ট সিনাই-এর গবেষকের দল নির্ধারণ করতে চেয়েছিল যে ভ্রূণের স্টেম কোশ মায়েদের হার্টের পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করেছে কিনা।
গবেষকরা কিছু গর্ভবতী মেয়ে ইঁদুরের হার্ট পর্যবেক্ষণ করে দেখেন। এই সব মেয়ে ইঁদুরেরা গর্ভাবস্থার মাঝামাঝি হার্টে আঘাত পেয়েছিল তবুও বেঁচে গিয়েছিল। প্লাসেন্টা থেকে প্রাপ্ত ভ্রূণের স্টেম কোশগুলোকে লেবেল করার জন্য ভ্রূণের মধ্যে সবুজ ফ্লুরোসেন্ট প্রোটিন ব্যবহার করেন এবং দেখেন যে সবুজ ফ্লুরোসেন্ট স্টেম কোশ সেই মায়েদের আহত হার্টে গিয়ে সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুতে সংযোজিত হয় এবং মসৃণ পেশী কোশ, রক্তনালীর কোশ বা কার্ডিওমায়োসাইটস নামক এক ধরনের হার্টের কোশে পৃথকীকৃত হয়। মাউন্ট সিনাই স্কুল অফ মেডিসিনের কার্ডিওভাসকুলার রিজেনারেটিভ মেডিসিনের ডিরেক্টর হিনা চৌধুরীর মতে এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন যার সুদূরপ্রসারী থেরাপিউটিক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন যে এই গবেষণায় এটা স্পষ্ট যে ভ্রূণের স্টেম কোশ মাতৃত্বকালীন সময়ে হার্টের মেরামতে সাহায্য করে। হার্টের মেরামতের জন্য একটি আদর্শ স্টেম সেলের ধরন নির্ধারণ করা হৃদরোগের গবেষণায় একটি বড়ো চ্যালেঞ্জ। দেখা গেছে প্লাসেন্টা থেকে প্রাপ্ত ভ্রূণের স্টেম কোশ, যা প্রসবের পরে বাতিল করা হয় এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সহায়ক।