কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যাকে আমরা ইংরেজিতে Artificial Intelligence বা AI বলি মস্তিষ্কের গতিবিধি বা সক্রিয়তা থেকে শব্দ এবং বাক্যকে বিস্ময়করভাবে নির্ভুলতার সাথে (যদিও সীমিতরূপে) উদ্ধার করতে পারে যাকে বলা হয় ডিকোডিং করা। একটি প্রাথমিক গবেষণায় জানা গেছে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের মস্তিষ্কের সক্রিয়তার তথ্য ব্যবহার করে, AI অনুমান করে ফেলে যে একজন ব্যক্তি কী শুনেছে। প্রথম ১০টি উত্তরের মধ্যেই সম্ভাব্য সঠিক উত্তরটি AI বলে দিতে পারে এবং এটি ৭৩ শতাংশ ক্ষেত্রেই দেখতে পাওয়া গেছে।
ট্রিনিটি কলেজ ডাবলিনের কম্পিউটার বিজ্ঞানী জিওভান্নি ডি লিবার্তোর মতে AI-এর ক্ষমতা যা ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে অনেক বেশি। গবেষকরা ২৫-শে আগস্ট arXiv.org-এ রিপোর্ট করেছেন যে, Facebook, Meta, সারা বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ, যারা কথা বলতে পারে না, লিখে বা অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে অক্ষম তাদের সুযোগ করে দিচ্ছে এই Artificial Intelligence ব্যবহার করে একে অপরের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে। এর মধ্যে অনেক রোগীরা আছেন যাদের ন্যূনতম সচেতনতা রয়েছে বা যারা “ভেজিটেটিভ স্টেট”-এ রয়েছেন যা এখন Unresponsive wakefulness syndrome হিসাবে পরিচিত। এই ধরনের রোগীদের যোগাযোগে সাহায্য করার জন্য বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রোড ইমপ্লান্ট করা হয় যার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয়ে পরে। নিউরোসায়েন্টিস্ট জিন-রেমি কিং, যিনি বর্তমানে প্যারিসের ইকোলে নরমাল সুপারিউরের একজন মেটা AI গবেষক তার মতানুসারে এই নতুন পদ্ধতি কথোপকথনে অপারগ এমন রোগীদের সাহায্য করার জন্য অস্ত্রোপ্রচারের পরিবর্তে এক কার্যকর পথ দেখিয়েছে।