২৫০টার বেশি জীবাশ্মীভূত ডিম আবিষ্কারের পর ভারতীয় উপমহাদেশে টাইটানোসরদের অস্তিত্বের প্রমাণ আরও জোরদার হল। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক হর্ষ ধিমান ও তাঁর সহকর্মীরা একটা গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন প্লস ওয়ান নামের পত্রিকায়।
মধ্য ভারতের নর্মদা নদী অববাহিকায় ‘ল্যামেটা ফরমেশন’ নামের একটা বিশেষ ভূতাত্ত্বিক গঠন চোখে পড়ে। ক্রেটাশিয়াস যুগের শেষ দিকের ডাইনোসরদের কঙ্কাল আর ডিমের জীবাশ্ম আবিষ্কারের জন্য এই অঞ্চলটা বিখ্যাত। ইদানীং নতুন করে গবেষণা আর প্রত্নতাত্ত্বিক খননের পর ৯২টা এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া গেছে যেখানে টাইটানোসর প্রজাতির ডাইনোসর ডিম পাড়ার জন্য ব্যবহার করত। এই বিশেষ জায়গাগুলো থেকে মোট ২৫৬টা ডিমের জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে একই সাথে।
অধ্যাপক হর্ষ ধিমান বলছেন, টাইটানোসর ছিল বৃহত্তম ডাইনোসরদের মধ্যে একটা প্রজাতি। এই অতিকায় প্রাণীদের বাসা বা ডিম পাড়ার জায়গাগুলো খতিয়ে দেখে তাদের জীবন প্রণালির অনেক অজানা তথ্যই নতুন করে জানা যাবে।
গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে ছটা আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যের ডিমের। অর্থাৎ ভারতীয় উপমহাদেশের বৃহদাকার টাইটানোসরদের মধ্যে বৈচিত্র্য কম ছিল না। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দলের অনুমান এখনকার কুমিরের মতোই মাটিতে গর্ত করে ডিমগুলো রাখত এই ডাইনোসরের প্রজাতি।