বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ব্রেন স্ক্যান এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মডেল ব্যবহার করে, কোনো মানুষ কী ভাবছেন, তার একটা সারমর্ম বোঝা সম্ভব হচ্ছে, অর্থাৎ চলিত ভাষায় বলা যায় মানুষের মন পড়া সম্ভব হচ্ছে।
এই আবিষ্কারের পিছনে মূল কারণ হল, যে সমস্ত মানুষ কোনো ভাবে ভাষার মাধ্যমে যোগাযোগ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন, তাদের সাহায্য করার জন্য এই পাঠোদ্ধারের কাজ করা হবে। যদিও আমেরিকান বৈজ্ঞানিকরা স্বীকার করেছেন, ‘মানসিক গোপনীয়তা রক্ষা’ এক্ষেত্রে একটা প্রশ্নচিহ্নের সম্মুখীন হবে।
এই ভীতি নিবারণের জন্য, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই পাঠোদ্ধারের কাজের জন্য কোনো ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া ফাংশানাল ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স স্ক্যানারে সেই ব্যক্তির মস্তিষ্কে কী চিন্তা ভাবনা চলছে, তা নিয়ে গবেষণা করা হবে না।
পূর্ববর্তী গবেষণা থেকে জানা গেছে, ব্রেন ইমপ্ল্যান্টের মাধ্যমে যে ব্যক্তিরা একটা শব্দ বা বাক্য বলতে বা টাইপ করতে পারে না, তাদের কথা বুঝতে বিজ্ঞানীরা সক্ষম হয়েছেন। এই ‘ব্রেন কম্পিউটার ইন্টারফেস’ মস্তিষ্কের এমন অংশে কাজ করে, যে অংশ কথা বলার সময় মুখকে নিয়ন্ত্রণ করে।
নেচার নিউরোসায়েন্সে প্রকাশিত, এই গবেষণার লেখক টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসায়েন্টিস্ট অ্যালেক্সান্ডার হাথ ও তার একজন সহ লেখক প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন, তাদের দল ভাষার পাঠোদ্ধারের জন্য যে কাজ করেন, তা আগের কাজের থেকে একদম আলাদা। তাদের কাজে মস্তিষ্কের ভিতরে আলাদা করে বাইরে থেকে কোনো বস্তু প্রবেশ করানো হয় না। হাথ বলেন, তাদের গবেষণায় মানুষের মস্তিষ্কে কোনো বিষয়ের ধারণা, তার অর্থ, তাৎপর্য স্তর নিয়ে কাজ করা হয়। বাইরে থেকে কোনো বস্তু মস্তিষ্কে প্রবেশ না করিয়েও মানুষের ভাষা পুনরায় নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে।