মহাবিশ্বে বস্তুর যতরকমের নমুনা রয়েছে তাদের মধ্যে ঘনত্বে সেরা ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর। অর্থাৎ, বলাই বাহুল্য যে তারা ওজনদারও বটে। মহাকর্ষীয় আকর্ষণ বলও সেই কারণে অত্যন্ত বেশি, এতটাই যে আলোও সেই টান কাটিয়ে ফিরে আসতে পারে না। আলোকেও শোষণ করে নেয় তাই এদের নাম ব্ল্যাকহোল।
কিন্তু কৃষ্ণগহ্বরের দলেও চ্যাম্পিয়ান আছে। সেইসব অতিভারি দানবিক ব্ল্যাকহোলের সন্ধান শেষ হওয়ার নয়। এই সপ্তাহে এমনই একটা কৃষ্ণগহ্বর আবিষ্কার করলেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা। আমাদের সূর্যের তুলনায় ওজনে ৩৩গুণ ভারি। তাত্ত্বিকভাবে ব্ল্যাকহোল যতখানি বড়ো আর ভারি হতে পারে, সেই উর্দ্ধসীমা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে এই নমুনা। অবস্থান পৃথিবী থেকে ২.৭ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে, অতিকায় উপবৃত্তাকার ছায়াপথ অ্যাবেল ১২০১-এর কেন্দ্রে।
ওজন আর আকারের জন্য এই সদ্য আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরকে বিরল মর্যাদায় ভূষিত করা হল – ‘আলট্রাম্যাসিভ ব্ল্যাকহোল’। এমনিতে ছোটখাটো ব্ল্যাকহোলের ওজনই সূর্যের ওজনের দশ থেকে একশো গুণ অবধি হতে পারে। সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলের ক্ষেত্রে ওজনটা সূর্যের চেয়ে কয়েক মিলিয়ন গুণ বেশি। আর সবচেয়ে উপরে রয়েছে এই আলট্রাম্যাসিভ সদস্যরা। তারা সৌরভরের চাইতে বিলিয়ন গুণ বেশি ভারি।
এখনও অবধি সবচেয়ে ভারি ব্ল্যাকহোলের নাম টন ৬১৮, যেটা আমাদের সূর্যের চেয়ে ৬৬ বিলিয়ন গুণ বেশি ভারি। নামটাও তাই জব্বর। নতুন খুঁজে পাওয়া ব্ল্যাকহোলের নাম কী দেওয়া হয়, সেটাই এখন দেখার।