জাতিসংঘের তরফ থেকে সমুদ্রবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করেন ডঃ স্যান্ডর মুলশো। খ্যাতনামাও বটে। সমুদ্র সংরক্ষণ, সমুদ্রের নিচের ভূতত্ত্ব আর রসায়ন নিয়ে ডঃ মুলশোর গবেষণার অভিজ্ঞতা পর্বতপ্রমাণ। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ‘ব্লু সলিউশান সামিট’-এ এসে তিনি সমুদ্রগহ্বর খনন করতে নিষেধ করলেন। তাঁর সতর্কবাণী, সংরক্ষণের জন্যেই প্রথমে উদ্যোগী হওয়া উচিৎ।
গভীর সমুদ্রের তলদেশে যে প্রাকৃতিক ভাবে বিরল পদার্থের সন্ধান মিলবে, তা অনেক বছর আগে থেকে বিজ্ঞানীমহলে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু সবটাই তাত্ত্বিক পর্যায়ে। হাতেনাতে কাজ করতে গেলে যেসব নিখুঁত বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের দরকার পড়ে, সেগুলো এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। কিন্তু বাণিজ্যের লোভ অতি বিষম বস্তু। ইতিমধ্যেই উন্নত দেশগুলোর তরফ থেকে প্রায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সমুদ্রের তলদেশে খনি তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একাধিক প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনাও হয়ে গিয়েছে।
সিডনির মেরিটাইম মিউজিয়ামের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নেতৃবর্গ, উদ্যোগপতি, প্রশাসনিক ব্যক্তিরা। সমুদ্রের নিচে প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার খুঁড়ে তোলার আগে যথাযথ নিরাপত্তা যেমন দরকার তেমনই মাথায় রাখতে হবে ভবিষ্যতের দিকটাও। মুলশো বলছেন, হয় প্রকল্পগুলো বন্ধ করা উচিৎ, নাহলে প্রক্রিয়াটা ধীর গতির হওয়া দরকার।