পরিবেশের যে পরিবর্তনগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য সবচাইতে ক্ষতিকারক, তাদের মধ্যে বায়ুদূষণের স্থান একেবারে প্রথমে। এমনটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই বলছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই এটা বিশ্বাসই করতে পারবেন না যে, দূষকের তালিকায় আমাদের নিজেদের শরীরও থাকতে পারে!
আমাদের গায়ে, মানে ত্বকে তেল থাকে। ঐ তেল বাতাসের ওজোন গ্যাসের সাথে বিক্রিয়া করে বিভিন্ন মুক্ত মূলক সৃষ্টি করে। তারপর ঘরের পরিবেশের মধ্যে রোজকারের জৈব যৌগগুলোর সাথে সেই মুক্ত মূলকের বিক্রিয়ায় বিপদজনক দূষক উৎপন্ন হতে পারে। অর্থাৎ ঘরের মধ্যেকার বাতাসের বিষ আসছে আমাদেরই শরীর থেকে।
জার্মানি, ডেনমার্ক, ফ্রান্স আর অ্যামেরিকার বিজ্ঞানীরা মিলিতভাবে একটা গবেষণা করেছিলেন। সায়েন্স পত্রিকায় গতমাসে প্রকাশিত সেই গবেষণাপত্রে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে ঠিক কোন পথে ক্ষতিকারক পদার্থ তৈরি হতে পারে।
অন্যতম মুখ্য গবেষক জোনাথন উইলিয়ামস একজন রসায়নবিদ, যাঁর কাজের ক্ষেত্রটা পরিবেশ নিয়ে। উনি সাইপ্রাস ইন্সটিটিউট এবং জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইন্সটিটিউট ফর কেমিস্ট্রির সাথে যুক্ত রয়েছেন। অধ্যাপক উইলিয়ামস বললেন, মানুষজন বাইরের দূষণ নিয়ে কমবেশি সচেতন। কিন্তু ঘরে ঢুকলেই ভাবি আমরা বুঝি নিরাপদ। সেটা মোটেই সত্যি নয়। ওজোন গ্যাস যে আমাদের ত্বকে থাকা তেলের সাথে বিক্রিয়া করতে পারে, এটা বেশ আশ্চর্যের বলেই জানালেন উইলিয়ামস।