বাদুড়ের শরীরে যে প্যান্ডোরার বাক্স আছে সে আর কে জানত! এমনিতে এই নিশাচরের দেহে ভাইরাসের ভাণ্ডার রয়েছে যাতে একজন মানুষের শরীর একদিনের জন্য বিপর্যস্ত হয়ে যেতে পারে। অথচ বাদুড়দের কিন্তু কোনও গুরুতর অসুস্থতা হয় না।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা এক শক্তিশালী প্রোটিনের সন্ধান পেয়েছেন বাদুড়ের দেহে। এই প্রোটিনই তাদের ভাইরাসঘটিত রোগ থেকে রক্ষা করে। গবেষকরা দাবি করলেন, এই প্রোটিন নাকি মানবদেহের প্রদাহজনিত রোগজ্বালাও (ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ) ঠেকাতে পারে।
ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীববিজ্ঞানী ওয়াং লিন-ফা বলছেন, করোনা অতিমারির সময় ভাইরাসের বাহক হিসেবে বাদুড়ের দুর্নাম ঘটেছিল বিস্তর। এদেরই ফাঁসিকাঠে তোলা হয়েছিল বিশ্বজোড়া মহামারির জন্যে। ওয়াং আশাবাদী। তাঁর মতে, এতও ভাইরাসের বাহক হওয়া সত্ত্বেও বাদুড়ের দেহে সংক্রমণ ঘটে না, এটা ভালো ব্যাপার। এটা থেকে মানুষের স্বাস্থ্যেও উন্নতি সম্ভব। যদি বাদুড়ের দেহের ভেতরকার ব্যবস্থাটা সঠিক ভাবে বোঝা যায়।
সেল পত্রিকায় প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রে বাদুড়ের শরীরের এক শক্তিশালী প্রোটিনের উলেখ করা হয়েছে। এটার নাম ASC2, শরীরের মধ্যে থাকা ইনফ্লেমাসোম নামের একটা ইমিউন অণুকে প্রভাবিত করে। এই প্রোটিন নিয়ে বিশ্লেষণের সময় চারটে অ্যামিনো অ্যাসিড শনাক্ত করেছেন। এই অ্যামিনো অ্যাসিডগুলো প্রোটিনকে আরও কার্যকরী বানায়। প্রদাহের সমস্যাকে অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে। অন্য স্তন্যপায়ীদের ক্ষেত্রেও এই প্রোটিন কাজ করবে।