কয়েক হাজার ছায়াপথ যেন গোলটেবিল বসিয়েছে মহাকাশে। কিন্তু অগুনতি নক্ষত্র এক ছায়াপথ থেকে অন্য ছায়াপথে বেঘর সদস্যের মতো ঘুরছে। তাদের ঘোলাটে ভুতুড়ে আলোর ছটা চারিদিকে। কিন্তু ঐসব ছায়াপথের মধ্যে একটারও মহাকর্ষীয় টানে আবদ্ধ নয় তারাগুলো। এ কেমন কথা!
মহাকাশবিজ্ঞানীদের যা হতবাক করে দিয়েছে তা হল – কীভাবে অমন ইতস্তত ছড়িয়ে আছে নক্ষত্রগুলো? অনেক তত্ত্বই ফাঁদা হচ্ছে। কিন্তু কোনটাতেই মনের মতো ব্যাখ্যা মিলছে না। কোনও বিজ্ঞানী বলছেন, অনেক আগেই ঐসব তারা খসে পড়েছিল ছায়াপথ থেকে। কেউ আবার ভাবছেন, একাধিক ছায়াপথের সীমান্তে অবস্থান করছে ঐসব নক্ষত্র। ফলে নির্দিষ্ট করে একটা ছায়াপথের আকর্ষণের ক্ষেত্রে তারা ধরা পড়ছে না।
নাসার গবেষকদের তরফ থেকে একটা ইনফ্রারেড সার্ভে হয়েছে হাবেল স্পেস টেলিস্কোপে খুঁজে পাওয়া এক ব্যাখ্যাহীন আলোর উৎস নিয়ে। ‘ইন্ট্রাক্লাস্টার লাইট’। নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন কয়েক বিলিয়ন বছর ধরে ঐসব নক্ষত্র নাকি এমনভাবেই মহাকাশের ঐ নির্দিষ্ট অঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছায়াপথ সৃষ্টির আগে থেকেই হয়তো। ঐ সব গ্যালাক্সিতে ইদানীং যেসব পরিবর্তন ঘটছে তাতে ঐ নক্ষত্রদের কোনও ভূমিকাও নেই, প্রভাবও নেই।
সমীক্ষায় আমাদের পৃথিবী থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে দশটা ছায়াপথ-পুঞ্জ নিয়ে নাড়াঘাঁটা করা হয়েছিল। যদিও পৃথিবীতে অবস্থিত কোনও অবজারভেটরি থেকে তাদের খুঁজে পাওয়া নেহাতই অসম্ভব। রাতের আকাশের যতটুকু উজ্জ্বলতা তার চেয়ে ঐ ভুতুড়ে আলোর ঘনত্ব ১০০০০ গুণ কম।