জামাকাপড়ের বৈচিত্র্য আর ব্যবহার দুটোই উত্তরোত্তর বেড়ে গেছে আমাদের সময়, মানে নতুন শতকে। ফুলেফেঁপে উঠেছে বিভিন্ন দেশের বস্ত্রশিল্পের ছবিটাও। অস্ট্রেলিয়াও বাদ নয়। ২০১৮-১৯ সালের হিসেব বলছে, সে দেশের মানুষ গড়ে ৫৬টা করে নতুন পোশাক কিনেছে। যোগ করলে ওজন হবে ৩৮৩০০০ টন। আর গুরুতর খবরটা হচ্ছে, জামাকাপড়ের ছাঁটাই বর্জ্য ভাগাড়ে জমেছে ২০০০০০ টন।
বস্ত্রশিল্পের এতও বিপুল পরিমাণ বর্জ্যের ব্যবস্থাটা ঠিক কেমন করে হবে? রিসাইকেল করার খরচ বেশি বলে ঐ রাস্তাটা এখনও জনপ্রিয় হয়নি তেমন। কিন্তু বস্ত্র উৎপাদনের সাথে যুক্ত উদ্যোগপতিরা কিন্তু আশা করছেন আগামী এক দশকের মধ্যে রিসাইকেলের ব্যবস্থা পোক্ত করা যাবে।
অস্ট্রেলিয়ার সরকার ইতিমধ্যেই একাধিক শিল্পক্ষেত্রে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমানোর জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। এবার পালা বস্ত্রশিল্পের। মোবাইল ফোন, ব্যাটারি, প্লাস্টিক যেমন নিয়মিত নিয়ম মেনে রিসাইকেল করা হয় তেমন পোশাকআশাকের ক্ষেত্রেও হতে চলেছে। পরিকল্পনা ২০৩০ সালের মধ্যে বস্ত্রশিল্পের বর্জ্য পুরোটাই সরিয়ে ফেলা যাবে।
আগামী জুলাই মাস থেকে প্রকল্প শুরু করতে চলেছে দ্য অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশান কাউন্সিল।