যতবারই আইন বলবৎ করে প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা হয়েছে, ততবারই কোনও না কোনওভাবে বাজারে প্লাস্টিকের ব্যবহার হয়েছে। ৭৫ মাইক্রন তো দূর, এখনও খোলা মার্কেটে আগের ফিনফিনে প্লাস্টিক ব্যাগ দেদার বিকোচ্ছে। আইন থাকলে তার ফাঁকও থাকবে। সেই সুযোগেই পরিবেশের তোয়াক্কা না করেই বার বার নিম্নমানের প্লাস্টিকের ব্যবহার করে গিয়েছেন অধিকাংশ মানুষ। শত চেষ্টাতেও প্লাস্টিকের ব্যবহার যখন বন্ধ হচ্ছে না, তখন তার অন্য উপায় খুঁজে বের করতে উদ্যোগী হয়েছে বিজ্ঞানীরা। এরকমই এক উপায় বের করেছেন আইআইটি গুয়াহাটির গবেষকরা। তারা পরিবেশ বান্ধব টেকসই প্লাস্টিক তৈরি করতে চলেছেন। এই পরিবেশ বান্ধব টেকসই প্লাস্টিকের কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ। এই কাজের জন্য আইআইটি গুয়াহাটি একটি সেন্টার অফ এক্সিলেন্স প্রতিষ্ঠা করেছে। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষকদের ধারণা, পৃথিবীর বর্তমান অবস্থা ভয়াবহ। আর তার একমাত্র বড় কারণ হল প্লাস্টিকের ব্যবহার। তা কমানো যাচ্ছে না কোনওভাবেই।
ইনস্টিটিউটে প্রথম বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক উৎপাদন পাইলট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। প্ল্যান্টে বিভিন্ন বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক পণ্য, যেমন কম্পোস্টেবল কাটলারি, ক্যারি ব্যাগ, প্লাস্টিকের পাত্র এবং চশমা ইত্যাদির প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে একটি কাস্টমাইজড ফিল্ম প্যাকেজিং লাইন, ইনজেকশন ছাঁচ, কাস্ট শিট লাইন এবং একটি থার্মোফর্মিং পণ্যকে রিসাইকেল করা হচ্ছে।
আইআইটি গুয়াহাটির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. পরমেশ্বর আইয়ার বলেন, এটি গোটা দেশে বিরাট শিল্প তৈরি করবে। প্লাস্টিক সেক্টরেও এর বিরাট প্রভাব দেখা যাবে। কারণ বর্তমানে পরিবেশে প্লাস্টিকের যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তা আর বিলম্ব না করে সমাধান করা দরকার। তবে এখনও সব কিছুর জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।