এই দুটো জাতের পেঙ্গুইনের কথা এতদিন বিজ্ঞানীরা জানতেন না। জীবাশ্ম উদ্ধারের পর দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে একটা এই পৃথিবীতে আবির্ভূত সবচেয়ে বড়ো পেঙ্গুইন। নিউজিল্যান্ডে আবিষ্কৃত এই প্রাগৈতিহাসিক পেঙ্গুইনের ওজন ছিল আনুমানিক ১৫০ কেজি। এখনকার পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো পেঙ্গুইন প্রজাতিদের তুলনায় কম করে তিনগুন বেশি ওজনের ছিল সেটা।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাড়াও আরও কয়েকটা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা এই আবিষ্কারের সাথে যুক্ত। ওনাদের গবেষণাপত্রটা প্রকাশ পেল ‘জার্নাল অফ প্যালেওন্টোলজি’-তে। যদিও গবেষণার পুরোধা ছিলেন নিউজিল্যান্ডের ‘তে পাপা তোঙ্গারেয়া’ মিউজিয়ামের অ্যালান টেনিসন। ঐ দেশটার ওটাগো শহরের উত্তরে সমুদ্রসৈকতে ৫৭ মিলিয়ন বছরকার পুরনো পাথরের নিচে এই জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন তিনি।
তারপর কার্বন ডেটিং ও অন্যান্য বৈজ্ঞানিক শনাক্তকরণের পর দেখা গেছে জীবাশ্মগুলো ৫৯.৫ থেকে ৫৫.৫ মিলিয়ন বছরের পুরাতন। ডাইনোসরের বিলুপ্তি ঘটেছিল যে ক্রেটাশিয়াস যুগের শেষদিকে, তারও ৫-১০ মিলিয়ন বছর পর এই পেঙ্গুইনরা ঘুরে বেড়াত পৃথিবীতে।
গবেষক দলটা লেজার স্ক্যানারের সাহায্যে জীবাশ্ম থেকে হাড়ের ডিজিটাল মডেল তৈরি করেছেন। তারপর আধুনিক পেঙ্গুইন এবং অকস পাখিদের দৈহিক গড়নের সাথে তুলনা করে দেখা হয়েছে। তা থেকেই এই প্রাগৈতিহাসিক পেঙ্গুইনের ওজন আর দেহের মাপ সম্পর্কে ধারণা করা গেছে।