পৃথিবীকে ঘিরে আর একটা ছোটো চাঁদ ঘুরছে

পৃথিবীকে ঘিরে আর একটা ছোটো চাঁদ ঘুরছে

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

নেচার অ্যাস্ট্রোনমি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে যে পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদের মতো আরও একটা ছোটো চাঁদ প্রদক্ষিণ শুরু করেছে। পৃথিবীর কাছাকাছি এক গ্রহাণু কামোওয়ালেওয়া, আমাদের গ্রহকে ঘিরে ‘মিনিমুন’ হিসাবে প্রদক্ষিণ করছে, এটা চাঁদের দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত জিওর্দানো ব্রুনো ক্রেটার নামে এক গর্ত থেকে উদ্ভূত হয়েছে বলে গবেষকরা মনে করছেন। এর অস্তিত্ব ২০১৬ সালে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছিলেন। বিজ্ঞানীদের মতে এক মাইল-প্রশস্ত মহাকাশ শিলা চাঁদে আঘাত করার ফলে তার থেকে টুকরো ছিটকে গিয়ে কামোওয়ালেওয়া গ্রহাণু সৃষ্টি হয় যা চাঁদের মতোই পৃথিবীকে ঘিরে ঘুরতে থাকে আর চাঁদে জিওর্দানো ব্রুনো ক্রেটার নামে গর্ত তৈরি হয়। কামোওয়ালেওয়ার আলোর প্রতিফলন ক্ষয়প্রাপ্ত চান্দ্র শিলার সাথে মেলে এবং এর আকার, বয়স এবং স্পিন সবই চাঁদের দূরবর্তী প্রান্তে অবস্থিত ব্রুনো ক্রেটার নামে প্রশস্ত গর্তের সাথে মিলে যায়।
হাওয়াইয়ের হালেকালা অবজারভেটরির গবেষকরা ২০১৬ সালে কামোওয়ালেওয়া আবিষ্কার করেছিলেন। এর ব্যাস প্রায় ৩০-৬০ মিটার আর এর ঘূর্ণন বেগ খুব দ্রুত, প্রতি ২৮ মিনিটে এটা একপাক ঘোরে। এই গ্রহাণু পৃথিবীর অনুরূপ পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। চিন ২০২৫ সালে এই গ্রহাণুতে নতুন মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। তিয়ানওয়েন-2 নামে এই মিশন প্রায় ২.৫ বছর পরে কামোওয়ালেওয়ার টুকরো নিয়ে পৃথিবীতে ফিরবে। ১৯৭৬ সালে নাসার বিজ্ঞানীরা চাঁদের শিলা পৃথিবীতে আনেন তার মধ্যে জিওর্দানো ব্রুনো ক্রেটার-এর নমুনা আছে। তিয়েনয়েন-2 মিশন কামোওয়ালেওয়ার টুকরো পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার পরে দুটো শিলার তুলনা করে, গবেষকরা কমোয়ালেওয়ার উত্স যাচাই করতে পারবেন। পৃথিবীর কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ার কারণে, মিনিমুনগুলো বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানের প্রধান ক্ষেত্রে হতে পারে। কিছু বিজ্ঞানী এই ক্ষুদ্র উপগ্রহগুলো সম্বন্ধে জানতে চান যাতে মানবজাতি মহাজাগতিক রহস্য আরও উন্মোচন করতে পারে।