মিনামি কিউশু ইউনিভার্সিটির একজন রিসার্চ টেকনিশিয়ান মিসাতো তেরাও ক্যাম্পাসের গ্রিনহাউস কাজ করার সময়, কিছু অনাকাঙ্খিত অনুপ্রবেশকারী দেখতে পান, মোটা সবুজ শুঁয়োপোকা যা মন দিয়ে খেতে ব্যস্ত। তিনি সেগুলিকে ছুঁড়ে ইয়োশিনোরি শিনতানির ল্যাবে ফেলে দেন, যিনি একজন পোকামাকড়ের ফিজিওলজিস্ট। শিনতানি দেখেন এই শুঁয়োপোকাগুলি তামাক গাছের পাতা কাটার কীট, এটি একটি মারাত্মক কীট যা এশিয়ার কৃষির পক্ষে ক্ষতিকারক। তিনি জানান, বেশ কয়েক দিন পরে তিনি দেখেন তার কাছে প্রায় ৫০ টি প্রাপ্তবয়স্ক মথ, এবং অপ্রত্যাশিতভাবে, তাদের প্রত্যেকেই স্ত্রী মথ। তিনি তার নিজের বাড়িতে আলোর চারপাশে উড়ন্ত পুরুষ তামাক পোকা সংগ্রহ করে, গ্রিনহাউসে রাখা স্ত্রী মথদের প্রজনন করেছিলেন। গ্রিনহাউস মথেরা শুধুমাত্র স্ত্রী কীট ছিল, দেখা গেল তাদের কন্যা মথ হল, আবার তাদের থেকে কন্যা হল। পতঙ্গের বংশধরদের ১৩ টিরও বেশি প্রজন্মে তারা মাত্র তিনটি পুরুষ পেলেন। শিনতানি এবং তার সহকর্মী কাগেয়ামা দ্রুত বুঝতে পেরেছিলেন যে তাদের হাতে একজন “পুরুষ-হত্যাকারী” রয়েছে।
কয়েক দশক ধরে, বিজ্ঞানীরা জেনেছেন যে সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, পোকামাকড়ের কোশের জেলির মতো সাইটোপ্লাজম অংশে বাস করতে পারে। এবং এমন একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, যা এখনও খুব ভালভাবে বোঝা যায় নি, সেই জীবাণুগুলি মা থেকে সন্তানদের মধ্যে যেতে পারে। কখনও কখনও এই মাইক্রোবিয়াল সিম্বায়ন্টগুলি হোস্টের প্রজননকে বিঘ্নিত করে। কাগেয়ামা বলেন, সিম্বায়ন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে মনে হয়, “পুরুষরা অকেজো” কারণ তারা জীবাণুবৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে না, তাই সিম্বায়ন্টগুলি সহজেই তাদের নিষ্কাশন করে দেয়। Wolbachia ব্যাকটেরিয়া পুরুষ প্রজাপতির জন্ম হতে বাধা দেয়। অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া পুরুষ পতঙ্গকীট তৈরি হওয়ার আগেই মেরে ফেলে, মহিলাদের জন্য প্রতিযোগিতা কমিয়ে দেয় এবং তাদের শক্তিশালী খাবার হিসেবে ভাইদের ডিম তাদের খেতে দেয়।
শিনতানির দল দেখেছে যে অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে গ্রিনহাউস মথের বংশধরে পুরুষ-হত্যার প্রভাব কমানো যায়নি, তাই এক্ষেত্রে কোনো ব্যাকটেরিয়া পুরুষ হন্তারক হতে পারে না, তাহলে তারা অ্যান্টিবায়োটিকে ধ্বংস হয়ে যেত। জেনেটিক বিশ্লেষণে ভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া গেছে, এদের ক্ষেত্রে আগে কোনো ভাইরাসকে পুরুষ-হত্যাকারী রূপে দেখা যায়নি। শুধুমাত্র দুটি পুরুষ-হত্যাকারী ভাইরাস নথিভুক্ত করা হয়েছে; জাপানি গবেষকদের দ্বারা পাওয়া ভাইরাস, যেটিকে তারা SlMKV নাম দিয়েছে, মনে হয় আলাদাভাবে বিবর্তিত হয়েছে।
পুরুষ-হত্যাকারীদের সম্পর্কে গবেষকরা যা কিছু শিখতে পারেন তা কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রকের সন্ধানে অগ্রসর হতে সাহায্য করবে, তাদের অনুসন্ধানে কোনো ‘মহিলা-হত্যাকারী’ ভাইরাস পাওয়া গেলে তা দিয়ে আক্রমণাত্মক কীটপতঙ্গ বা রোগ বহনকারী প্রজাতি যেমন মশার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য পাওয়া যেতে পারে।