গাছের ডালে পাখি উড়ে এসে বসে যখন – কৌশলটাকে সহজতম মনে হয়। কিন্তু আসলে কাজটা সময়ের সূক্ষ্ম ভারসাম্যের কারুকাজ। সাথে নির্দিষ্ট ঘাত, বেগ আর মুহূর্ত প্রয়োজন হয়। গাছে বসার কাজটা এতটা জটিল বলেই এখনও কোনও পাখি-রোবট বা অর্নিথোপ্টরের দক্ষতা নেই।
গ্রিফিন নামক এক ইউরোপীয় প্রোজেক্টের জন্যে কাজ করছিলেন ল্যাবরেটরি অফ ইনটেলিজেন্ট সিস্টেমস অ্যান্ড বায়োরোবটিক্সের রাফায়েল জাফারি। তিনিই পাখি-রোবটের জন্য বিশেষ ডানা আর ল্যান্ডিং গিয়ার (অবতরণের জন্য নির্দিষ্ট অঙ্গ) তৈরি করেছেন। নেচার কমিউনিকেশনে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে রাফায়েল দাবী করেছেন, তাঁর তৈরি নতুন এই অর্নিথোপ্টরের পাখির মতোই গাছের ডালে বা অন্য কোনও স্থানে উড়ে গিয়ে বসার ক্ষমতা রয়েছে।
স্পেনের সেভিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জাফারি ও তাঁর সহকর্মীরা মিলে ৭০০ গ্রাম ওজনের একটা পাখি-রোবট তৈরি করে ফেলেছেন। সেটা পরীক্ষা করার কাজও সম্পূর্ণ। কিন্তু এটা শ্রেফ প্রাথমিক ধাপ বলেই জানাচ্ছেন গবেষকরা। যদি এই যন্ত্রকে ভবিষ্যতে আরও উন্নত করা যায় তাহলে উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে নমুনা আর মাপ সংগ্রহ করতে পারবে এই রোবট। অন্য কোনও সারফেসেও যদি অবতরণ করতে পারে, তাহলে আরও অন্যান্য প্রয়োগের কথা ভাবা যাবে।