প্রকৃতিকে দূষণমুক্ত করার মহাযজ্ঞে সহায় প্রকৃতি নিজেই। প্রত্যেকটা দেশই এখন হাতড়াচ্ছে কোন জাদুতে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে নেট-জিরো লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়।
জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহারে কাটছাঁট করেও সম্পূর্ণ সাফল্য কিন্তু আসবে না। যেটুকু অংশ কার্বনমুক্ত করা অসম্ভব, সেটার জন্যে অন্য ফিকির আছে বিভিন্ন দেশের। জঙ্গল আর মাটিকে ব্যবহার করে ঐ বাকি কার্বনটা পরিবেশ থেকে তাড়াতে চাইছে তারা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাস্তাটা ভুলদিকে চলে যেতে পারে। এমনিতেই দাবানল, ফসলের রোগ, কৃষিপদ্ধতিতে বদলের জন্য মাটি আর জঙ্গল ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত। আবার, বনাঞ্চল বা মাটিতেও কিন্তু কার্বন মিশে থাকে। এই বন্দি কার্বন পরিবেশে মুক্ত হলে কেঁচে গণ্ডূষ করতে হবে।
বিপদ অন্যভাবেও আসতে পারে। বিভিন্ন দেশে কয়লা, খনিজ তেল আর গ্যাস ব্যবহার বন্ধ করতে ঢিলেমি করছে। সেই কারণে জঙ্গল বা মাটির চরিত্র পাল্টাচ্ছে। সুতরাং এই দুটো প্রাকৃতিক সম্পদের কার্বন শোষণ করার ক্ষমতা কতটা অবশিষ্ট থাকবে এক-দুই দশক পরে, তাতে সন্দেহ উঠতে বাধ্য।
প্রতিবেদনটা প্রকাশিত হল ‘কমিউনিকেশনস আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’ পত্রিকায়। দেশগুলো নেত-জিরোর লক্ষ্যের কথা ভেবে ঠিক কী কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে গবেষকরা সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিল জাতিসঙ্ঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশান অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বিভাগে। সেখান থেকেই এই ঝুঁকিপূর্ণ পরিকল্পনার কথা সামনে এসেছে।