তালিকায় চলে এসেছে একেবারে নতুন জাতের বরফ – মিডিয়াম ডেনসিটি অ্যামোরফাস আইস বা সংক্ষেপে এমডিএ।
অ্যামোরফাস বলা হচ্ছে, কারণ জলের অণুগুলো সুসজ্জিত গঠনে বিন্যস্ত নেই। সাধারণভাবে যে বরফ আমরা চিনি সেখানে অণুগুলো নির্দিষ্ট গঠনবিন্যাসে সজ্জিত থাকে। তাই সেটা ওইরকম কেলাসিত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এদিকে এই অ্যামোরফাস বরফের খোঁজ পৃথিবীতে সচরাচর মেলে না। কিন্তু বিজ্ঞানীদের ধারণা মহাকাশে অন্যত্র মূলত এই জাতের বরফই দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা। কারণ ক্রিস্টাল গঠন করতে যে পরিমাণে তাপশক্তি লাগে সেই পরিমাণ শক্তি এই জাতের বরফের মধ্যে থাকে না।
কীভাবে আবিষ্কৃত হল এমডিএ বরফ? সায়েন্স পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী, মাইনাস ২০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বিশেষ বয়ামের মধ্যে সাধারণ বরফ আর ইস্পাতের বল নিয়ে প্রচণ্ডভাবে ঝাঁকানো হয়েছিল। পদ্ধতিটার নাম ‘বল মিলিং’। পরীক্ষায় নেতৃত্ব দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক ডঃ অ্যালেক্সান্ডার রসিউ-ফিনসেন। তাঁর ভাষায়, সাধারণ বরফকে উন্মাদের মতো ঝাঁকানোর পর অভ্যন্তরীণ ক্রিস্টাল গঠন একেবারেই ভেঙে পড়ে। কিন্তু বরফেরই ছোট ছোট মিহি টুকরো না হয়ে এই নতুন জাতের বরফ সৃষ্টি হল। যেটার ভৌত গুনাগুণ একদম আলাদা।
গবেষণায় যুক্ত ছিলেন ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক অধ্যাপক, রসায়ন বিভাগের ক্রিস্টোফার সালজম্যান। তিনি বলছেন, সমস্ত প্রাণের মূল গঠনগত উপাদানই হল জল। আমাদের অস্তিত্ব জলের উপর টিকে রয়েছে বলেই আমরা এই পদার্থের সন্ধানে মহাকাশ অভিযান চালাই। কিন্তু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলা যায়, জলের বিষয়ে খুব সামান্যই আমরা এতদিনে জানতে বা বুঝতে পেরেছি।