টাইপ করা, রচনা ফাঁদার কাজে চ্যাট-জিপিটির জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের প্রয়োগে তৈরি এই প্লাটফর্ম থেকে নাকি কবিতা কিংবা গানের স্বরলিপিও লিখে ফেলা যাচ্ছে মানুষের সাহায্য ছাড়াই। বাদ যায়নি বিজ্ঞানের ক্ষেত্রও। কিন্তু চ্যাট-জিপিটির লেখা গবেষণাপত্র দেখে আসল মনে করে বোকামির ফাঁদে পড়ছেন বহু গবেষক।
বিষয়টা সামনে এলো কীভাবে? নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেইনবার্গ স্কুল অফ মেডিসিনের ওষুধ-বিশেষজ্ঞ ডঃ ক্যাথরিন গাও একটা পরীক্ষার পরিকল্পনা করেছিলেন। সহযোগের জন্যে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের সাহায্য ডঃ গাও চেয়েছিলেন। সমস্যা তৈরি হল যখন গবেষণার মূল বিষয়বস্তুর নির্যাস পাঠান হয় অন্য রিভিউয়ারদের কাছে। কোনটা যে মানুষের হাতে রচিত আর কোনটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের কীর্তি – তা আর বোঝার উপায় নেই। দেখা যাচ্ছে, গবেষকরা ১৪% সময় বুঝতেই পারছেন না তথ্যগুলো ঠিক না ভুল।
ডঃ ক্যাথরিন গাও বেশ উদ্বেগের সুরেই জানাচ্ছেন, যখন রিভিউয়াররা জানতে পারলেন কিছু বিষয়বস্তুর নকল নির্যাস তাঁরা হাতে পেয়েছেন, আরও বেশি সংশয়ে পড়ে গেছেন সেসব গবেষক। অনেক ক্ষেত্রেই যে বিজ্ঞানীরা দ্বিধায় থাকছেন কোনটা আসল আর কোনটা নয়, এর মানে চ্যাট-জিপিটিতে লেখা গবেষণাগুলোর মান মোটেই খারাপ নয়। তাতে সমস্যা আরও বাড়বে বলেই মত ডঃ ক্যাথরিন গাওয়ের।