একেবারেই ভুল প্রমাণ হতে পারে ছোটবেলা থেকে পড়ে আসা মমির কথা। প্রাচীন মিশরীয়দের মৃত দেহ সংরক্ষণের জন্য মমি করা হত – এই ধারণা হয়তো সঠিক নয়।
এটা কোনও হঠাৎ তৈরি হওয়া ধারণা নয়। বেশ কয়েক বছর ধরে একাধিক প্রত্নতত্ত্ববিদের পর্যবেক্ষণের ফল। তাঁরা দেখেছেন, মমি করার ফলে মৃতদেহের পচন না ধরার বিষয়টা শ্রেফ আকস্মিক। এটার সাথে কোনও নির্দিষ্ট পদ্ধতিগত বৈজ্ঞানিক সূত্র নেই। প্রথম যুগের মিশর-গবেষকরা অতি অল্প প্রত্যক্ষ প্রমাণের উপর ভিত্তি করে এই ধারণা সৃষ্টি করেছিলেন।
তাহলে, মমি করার মর্মার্থ কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রেওয়াজটা মূলত শৈল্পিক, সাথে ধর্মীয় গুরুত্বের যোগ থাকতে পারে। ভিক্টোরিয়ান যুগের মিশর-তাত্ত্বিকদের মৃত্যুপরবর্তী ভয় নিয়ে একটা বাড়াবাড়ি ছিল। তা থেকেই হয়তো এতদিনের ঐ ভুল ধারণার জন্ম।
ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার মিউজিয়ামের কিউরেটর ক্যাম্পবেল প্রাইস বলছেন, দুটো ব্যাখ্যার মধ্যে ফারাকটা সূক্ষ্ম কিন্তু ঐটুকুই যথেষ্ট।