আট থেকে আশি, যে কোনও বয়সি মানুষের চোখেই থাবা বসাতে পারে গ্লুকোমা। গ্লুকোমা হল এক ধরনের নিউরো-ডিজেনারেটিভ রোগ। অন্ধত্বের একটি প্রধান কারণ হল গ্লুকোমা এবং বর্তমানে এটি নিরাময় করা কঠিন তাই চিকিত্সার লক্ষ্য হল রোগের অগ্রগতি রোধ করা। কিছু ক্ষেত্রে গ্লুকোমা রোগীদের চিকিত্সা সত্ত্বেও দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পায়। চীনের এক নতুন গবেষণায় বলা হয়েছে, যে ইমিউন কোশ পরিপাকতন্ত্র থেকে চোখের দিকে যায় সেগুলো এর জন্য দায়ী। এই “গাট-রেটিনা অ্যাক্সিস” কোশ একটি নির্দিষ্ট প্রোটিনের সাথে যুক্ত হয়ে চোখের আলো-সংবেদনশীল কলাতে রেটিনাল গ্যাংলিয়ন কোশের (RGCs) ক্ষতি করে। এই রেটিনাল গ্যাংগলিয়ন কোশের অ্যাক্সন অপটিক স্নায়ু গঠন করে যা মস্তিষ্কে চাক্ষুষ তথ্য প্রেরণ করে।
গ্লুকোমার প্রধান ঝুঁকির কারণ হল চোখের বলের ভিতরের চাপ বা প্রেসার, যাকে বলা হয় এলিভেটেড ইন্ট্রাওকুলার প্রেসার (EIOP)। তাই চিকিত্সার প্রাথমিক লক্ষ্য হল EIOP হ্রাস করা, তবে তা সবসময় রোগের অগ্রগতি বন্ধ করতে পারে না। পূর্ববর্তী গবেষণায় বলা হয়েছিল যে গ্লুকোমায় ইমিউন সিস্টেমের ‘টি কোশ’-এর একটি ভূমিকা রয়েছে কিন্তু সেই প্রক্রিয়াটি অস্পষ্ট ছিল। টি কোশ এবং অন্যান্য ইমিউন কোশ সাধারণত রেটিনায় প্রবেশ করতে পারে না। কিন্তু যে টি কোশ “গাট-রেটিনা অ্যাক্সিস”-এর সাথে যুক্ত অর্থাৎ যে কোশ পরিপাকতন্ত্র থেকে রেটনার দিকে যায় তারা রেটিনায় MAdCAM-1 নামে প্রোটিনের সাথে যুক্ত হয়ে নিউরোইনফ্লেমেশন ঘটায়। গবেষকদের মতে তাই গ্লুকোমার সাথে শরীরের ইমিউন সিস্টেমেরও সম্ভাব্য যোগাযোগ রয়েছে। গবেষণাটি সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে।