গোটা বিশ্ব জুড়ে কমপক্ষে ৬৫ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘকালীন কোভিডে ভুগছে। নতুন গবেষণাপত্রে আরও বলা হয়েছে, সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে একজন মানুষের দেহে দীর্ঘমেয়াদি কোভিডের উপসর্গ দেখা যাবে। ৩৬ থেকে ৫০ বছর বয়সী রোগীদের মধ্যেই এই সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
মার্কিন মুলুকের একদল চিকিৎসা-গবেষক বিভিন্ন আঙ্গিকের দুশোর বেশি গবেষণাপত্র খুঁটিয়ে দেখে একটা খসড়া তৈরি করেছেন। নেতৃত্বে ছিলেন বিখ্যাত অ্যামেরিকান হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এরিক টোপোল। একটা সাবধানবাণী উঠে এসেছে ওনাদের সিদ্ধান্ত থেকে – ঢিলেমি দিলে কিংবা এড়িয়ে গেলে দীর্ঘমেয়াদি কোভিডের মাশুল চোকাতে হবে সারাটা জীবন ধরে। স্থায়ী কোনও পঙ্গুত্বও আশ্চর্যের না।
ভিক্টোরিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অধ্যাপক ব্রেট সাটন উল্লিখিত গবেষণাকে দীর্ঘকালীন কোভিডের চিকিৎসায় ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরে স্বাভাবিক সুস্থতা পুরোপুরি কিছু ক্ষেত্রে ফিরে আসে না। সাধারণ উপসর্গগুলো চলে গেলেও স্নায়বিক সমস্যা থেকে যায়। শরীরের অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো বিগড়ে যেতে পারে। এমনকি জটিল দৈহিক প্রক্রিয়াগুলো আর আগের মতো স্বাভাবিক কাজ করে না।
এরিক টোপোল ও তাঁর গবেষক দল নির্দিষ্ট কয়েকটা অঙ্গতন্ত্রের কথা উল্লেখ করেছেন তাঁদের প্রতিবেদনে। পালমোনারি (হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত), রেস্পিরেটরি (শ্বাসতন্ত্র), রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেম, স্নায়ুতন্ত্র, জননতন্ত্র, এন্ডোক্রাইন বা অন্তঃক্ষরা তন্ত্র – ইত্যাদি অনেকগুলো সমস্যা জীবনভর তাড়া করতে পারে দীর্ঘকালীন কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিকে।