মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার গবেষক ও ছাত্ররা মেতে রয়েছে এক মরীচিকা কণার সন্ধানে। ডার্ক ম্যাটার। ১৮৭০ সালে সাউথ ডাকোটার এই সোনার খনি বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এখন সেই খনির নিচেই চলছে পদার্থবিদ্যার দুষ্করতম সাধনা – ডার্ক ম্যাটারের খোঁজ। গবেষণাকেন্দ্রের নাম – সানফোর্ড আন্ডারগ্রাউন্ড রিসার্চ ফ্যাসিলিটি।
গবেষকরা যে কণার পিছনে ধাওয়া করছেন সেটা হল WIMP, সম্পূর্ণ নাম ‘উইকলি ইন্টারঅ্যাকটিং ম্যাসিভ পার্টিকেলস’। যখন এই মহাবিশ্বের জন্ম হয়েছে কয়েক মাইক্রোসেকেন্ড আগেই, সেই সময় এই কণাগুলোও সৃষ্টি হয়েছিল। আমাদের চারপাশেই হয়তো রয়েছে, গোপনে অদেখা অবস্থায়। মাটির এতটা নিচে গবেষণার একটা বিশেষ সুবিধা হল মহাজাগতিক রশ্মি প্রবেশ করতে পারে না এখানে। ফলে পরীক্ষার মধ্যে কোনও বিশেষ বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা নেই।
এই উইম্প কণা যদি একবার শনাক্ত করা যায় তাহলে ডার্ক ম্যাটারের রহস্য থেকে পর্দা উঠবে খানিকটা। এছাড়াও ব্রহ্মাণ্ডের গঠন সম্পর্কেও কিছু কিছু অজানা বিষয়ের সমাধান হবে। মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক কার্টার হল এই গবেষক দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। প্রোফেসর কার্টার গত ১৫ বছর ধরে ডার্ক ম্যাটারের সন্ধানে আছেন।