মানুষের মস্তিষ্কের কোষ অন্য কোনও মাধ্যমে রেখে কালচার করার রেওয়াজটা এখন বেশ জনপ্রিয়। কিছুদিন আগেই ‘ডিশব্রেন’ তৈরি করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এবার সূক্ষ্ম বায়োকম্পিউটার প্রস্তুত করা হচ্ছে মানুষের স্নায়ুকোষ থেকে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্গানয়েড গবেষক থমাস হার্টুং। কসমস পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, মানব মস্তিষ্কের কোষ যে শুধু কৃত্রিম কালচারের মধ্যে বেঁচে থাকে তা’ই নয়, বরং আরও উন্নত বৈশিষ্ট্যের সমাহার দেখা যায়। মগজের কোষ শিখতে পারে, মনে রাখতে পারে, সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অর্থাৎ, এককথায় বলা যায় যে পরিবেশে কোষের বিকাশ ঘটছে সেই পরিবেশ সম্পর্কে কোষটা সজ্ঞান। অধ্যাপক হার্টুং বলছেন, গবেষকদের কাছে এটা উদ্ভাবনের এক অজানা নতুন ক্ষেত্র।
একটা মজার ব্যাপারও রয়েছে। যে অস্ট্রেলীয় গবেষণা সংস্থা ‘ডিশব্রেন’ তৈরি করেছিল, তারা গাঁটছড়া বেঁধেছেন জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে। ঐ ‘ডিশব্রেন’-কে পং খেলতে শেখানো হয়েছিল। এবার বায়োকম্পিউটারের পালা। গবেষকরা আশাবাদী যে, স্মৃতি শিক্ষার মতো মানুষের বৌদ্ধিক ক্ষমতার আনাচকানাচ উন্মোচিত হবে এই পথেই। এমনকি সুপারকম্পিউটার কিংবা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাথে প্রতিযোগিতায় আসতে পারে এই বায়োকম্পিউটার।
গবেষণার মূল বিষয়টা প্রকাশিত হয়েছে ‘ফ্রন্টিয়ার্স ইন সায়েন্স’ পত্রিকায়। সেখানে ‘অরগ্যানয়েড ইন্টেলিজেন্স’ শব্দবন্ধটা ব্যবহার করা হল। চেতনা ও বুদ্ধিমত্তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের প্রশ্নগুলোর সমাধান হয়তো হবে।