দু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সাফল্যের মুখ দেখছে মাইক্রোগ্রিড। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার প্রত্যন্ত এক সোনার খনিতে শুরু হওয়া অপ্রচলিত শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র এটা। আকারে সবচেয়ে বড়ো ঐ দেশে।
পার্থ শহর থেকে উত্তর পূর্ব দিকে যেতে হবে হাজার কিলোমিটার। সেখানেই স্বর্ণক্ষেত্র, কোম্পানির নাম অ্যাগনিউ গোল্ড মাইন। একই সংস্থার অধীনে রয়েছে অ্যাগনিউ হাইব্রিড রিনিউয়েবেল মাইক্রোগ্রিড। শুরুর সময় অস্ট্রেলীয় গবেষকরা গিনিপিগ প্রোজেক্ট হিসেবে দেখছিল এটাকে, অর্থাৎ আদৌ এইরকমের প্রকল্প ওখানে চালানো সম্ভব কিনা সেটা দেখে নেওয়ার দরকার ছিল।
গোল্ড ফিল্ডসের কার্যনির্বাহী সহ-সভাপতি স্টুয়ার্ট ম্যাথিউস মাইক্রোগ্রিড প্রকল্প উদ্বোধনের সময়েই বলেছিলেন এটা বৈপ্লবিক হতে চলেছে। উনি এখন বলছেন, এই সাফল্য থেকে কীভাবে শক্তির নতুন উৎস খুঁজতে হবে তা নিয়ে একটা স্থায়ী রূপরেখা পাওয়া যাবে। অস্ট্রেলিয়া আর পৃথিবীর অন্যান্য জায়গাতেও প্রয়োগ করবার সুযোগ রইল।
অস্ট্রেলিয়ান রিনিউয়েবেল এনার্জি এজেন্সির তরফ থেকে ১৩.৫ মিলিয়ন ডলারের অর্থসাহায্য এসেছিল। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে আনুষ্ঠানিক ভাবে উৎপাদন শুরু হলেও, গোল্ড মাইন অঞ্চলে এমনিতে কাজ চলছে ২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকেই। এটাই অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র স্বর্ণখনি যেটা গোটাটাই বায়ুকলের বিদ্যুতে চলে।
মুখ্য কার্যনির্বাহী অফিসার জেমস হারম্যান জানালেন, অ্যাগনিউ প্রকল্পে খনির দৈনিক ৫৫-৬০% শক্তির চাহিদা মিটছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে হিসেবটা ৮০% ছুঁয়ে ফেলে। ডিজেলের ব্যবহার কমে গেছে ৪২-৫০% অবধি, যেটা অবশ্যই সুখকর আর আশাপ্রদ খবর।