পদার্থবিজ্ঞানের একাধিক শাখার গবেষকরা ডার্ক ম্যাটার আর ডার্ক এনার্জির নিখুঁত হিসেব পেশ করতে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন। বিজ্ঞানের আধুনিকতম সমস্যা এই দুই বিষয়। ব্রহ্মাণ্ডের বন্দোবস্ত ঠিক কেমন? কীভাবে আজকের রূপে বিবর্তিত হয়েছে মহাবিশ্ব?
প্যান্থেয়ন প্লাস নামের এক জোরালো গবেষণায় অনেকটাই নিখুঁত উত্তর মিলেছে। এমনটাই দাবী সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের। হার্ভার্ড অ্যান্ড স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের একদল গবেষক নতুন এক পেপার প্রকাশ করলেন। প্রকাশিত হয়েছে অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালের একটা বিশেষ সংখ্যায়।
প্যান্থেয়ন প্লাসে দেখা গেছে, মহাবিশ্বের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ (৬৬.২%) ডার্ক এনার্জির আওতায়। বাকি ৩৩.৮% হল পদার্থ দিয়ে তৈরি। পদার্থের ভেতর আবার স্বাভাবিক পদার্থ আর অ্যান্টি-ম্যাটার উভয়ই রয়েছে, কিন্তু পাল্লা ভারি অ্যান্টি-ম্যাটারের। ব্রহ্মাণ্ডের মাত্র পাঁচ শতাংশ জায়গা জুড়ে আছে স্বাভাবিক বস্তু, অর্থাৎ চোখে দেখা যায় বা স্পর্শে বোঝা যায় এমন।
মুখ্য গবেষক ডিলন ব্রোউট বলছেন, প্যান্থেয়ন প্লাসের ফলাফল থেকে সবচেয়ে নিখুঁতভাবে মহাবিশ্বের ইতিহাস আর গতিশীলতা নিয়ে শর্ত তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। এতদিনের পদার্থবিদ্যার প্রায় সব পরীক্ষার তথ্য একসাথে নেওয়া হয়েছিল এই গবেষণার প্রয়োজনে। তাতেই অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে কীভাবে বিবর্তন ঘটেছে মহাবিশ্বের। ডার্ক এনার্জি আর ডার্ক ম্যাটার নিয়ে সর্বাধুনিক তত্ত্ব আরও মজবুত হল বলেই অভিমত প্রোফেসর ব্রোউটের।