স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি এবং সরীসৃপ সকলেই ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক চার্জ বা তড়িৎ আধান বহন করে। এবং তা শত শত থেকে হাজার হাজার ভোল্টের সমতুল্য।‘কারেন্ট বায়োলজি’-তে গবেষকরা ৩০-শে জুন রিপোর্ট করেছেন যে দেখা গেছে ‘টিক’ ও এদের শূককীট এই ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক চার্জে সাড়া দেয়। টিক একধরনের পরজীবী যারা মেরুদণ্ডী প্রাণীদের রক্ত শোষণ করে। চামড়ার সঙ্গে (অনেকটা আঁচিলের মতো) এঁটে থাকে বলেই বাংলায় এই পোকা বা কীট ‘এঁটুলি’ নামেই বিশেষ পরিচিত। ইংরেজিতে এই পোকাগুলিকে ‘টিক’ (Tick) বলে। শুদ্ধ বাংলায় যাকে বলে মাকড়। এটি মাকড়শার শ্রেণিভুক্ত একটি পোকা।এদের কারণে বিভিন্ন রোগ হয় যেমন লাইম রোগ, রকি মাউন্টেন স্পটড ফিভার ।
ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানী স্যাম ইংল্যান্ড বলেছেন যে প্রাকৃতিকভাবে অনেক প্রাণীর উপর ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক চার্জ থাকে, কিন্তু এই বৈদ্যুতিক চার্জের দ্বারা উত্পন্ন শক্তি কীভাবে এই প্রাণীদের বসবাসকারী অঞ্চলের বাস্তুকে প্রভাবিত করে তা সেরকমভাবে অধ্যয়ন করা হয়নি।
ইংল্যান্ড এবং তার সহকর্মীরা খরগোশের শুকনো পা এবং খরগোশের পশম ঘষে চার্জ করা এক্রাইলিক পৃষ্ঠ দিয়ে দেখতে চেয়েছিলেন ‘টিক’ তার হোস্টের শরীর থেকে নির্গত এই প্রাকৃতিক বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে সাড়া দেয় কিনা। দেখা গেছে Ixodes ricinus নামে ক্যাস্টর বিন টিক কয়েক মিলিমিটার থেকে কয়েক সেন্টিমিটার দূরত্বে রাখা এই বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে সাড়া দিয়ে বাতাসে লাফিয়ে তার হোস্টের শরীরের পৃষ্ঠের দিকে চলে যায়। এর থেকে এটা স্পষ্ট যে বৈদ্যুতিক শক্তির প্রভাবে টিক কোনো জায়গা থেকে কয়েকগুণ বেশি দূরত্বে লাফিয়ে যেতে পারে। মৃত শূককীট দিয়েও তারা এই পরীক্ষা করে দেখেন যে এরাও বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত। এবং মজার ব্যাপার হল, ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক বল প্রতিটি ক্ষেত্রেই এদের অভিকর্ষের বিরুদ্ধে টেনে নিয়েছিল।