প্রাচীন সার্কোফেগাস নিয়ে কাজ করার সময় অভিশাপের ভয় নেই আর মিশরবিশারদের। প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে মমি আর শবাধারের ভেতরের রহস্য আরও সহজে উন্মোচিত হবে।
প্রযুক্তির সেই স্পেশাল জাদুগরির নাম ‘নিউট্রন টোমোগ্রাফি’। আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে ভাঙা হাড় কিংবা টিউমার শনাক্ত করতে যেমন সিটি স্ক্যানের এক্সরে রশ্মি, তেমনই নিউট্রন কণার গতিবিধির উপর ভরসা করে এই নতুন প্রযুক্তি। একটা সলিড বা ফাঁপা জিনিসের ভেতর দিয়ে যত ভালোভাবে যত বেশি সংখ্যক নিউট্রন কণা চলাচল করতে পারবে, ভেতরকার ছবিটা ততই সুস্পষ্ট হবে।
ব্রিটিশ মিউজিয়ামের বিজ্ঞানীরা মিশর থেকে সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া কফিনের উপর এই প্রযুক্তিরই প্রয়োগ করলেন। কম করে ২২০০ বছরের পুরনো ছ’টা তামার তৈরি কফিন। নিউট্রন টোমোগ্রাফি ব্যবহার করে দেখা গেল মেসালিনা গোত্রের লিজার্ড বা বড়ো টিকটিকি ছিল কফিনে। সাথে সুতোর টুকরোও শনাক্ত করা গেছে। হয়তো প্রাণীদের মৃত্যুর পর কাপড়ে জড়িয়ে তারপর কফিনে ঢোকানো হয়েছিল।
এছাড়াও অদ্ভুত ভাবে পারদের নমুনা পাওয়া গিয়েছে। ক্ষার ধাতুর ব্যবহার যে সৎকারের সময় প্রচলিত ছিল, এটা তারই প্রমাণ। এমনই আন্দাজ করছেন ব্রিটিশ মিউজিয়ামের গবেষকরা।