বিশদ তথ্যের জন্য বেইজিংকে চাপ দেওয়ার পরে বৃহস্পতিবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, চীন জানিয়েছে তাদের দেশের উত্তর অঞ্চলে শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার পিছনে কোন অস্বাভাবিক বা নতুন প্যাথোজেন সনাক্ত করা যায়নি। । ২০২৩ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের ডেটা পর্যবেক্ষণ করছে যার থেকে জানা যাচ্ছে উত্তর চীনে শিশুদের শ্বাসকষ্টেজনিত অসুস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা বুধবার রাতের দিকে ঘোষণা করেছে যে এটি আরও তথ্যের জন্য বেইজিংয়ের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে, তবে সরকার বৃহস্পতিবার কোনও মন্তব্য করেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে এটি বৃহস্পতিবার চীনা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এবং বেইজিং চিলড্রেনস হাসপাতালের সাথে, জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন এবং জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ প্রশাসনের সহায়তায় একটি টেলিকনফারেন্স করেছে। তার আরও জানিয়েছেন, চীনা কর্তৃপক্ষের মতে বেইজিং এবং লিয়াওনিং সহ কোনও স্থানে অস্বাভাবিক বা অভিনব প্যাথোজেন বা অস্বাভাবিক কোনো ক্লিনিকাল উপস্থাপনা পাওয়া যায়নি, তবে একাধিক পরিচিত প্যাথোজেনের কারণে শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার সাধারণ বৃদ্ধি ঘটেছে।
চীন বলেছে যে শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা বৃদ্ধি সত্ত্বেও হাসপাতালের ধারণক্ষমতার ঊর্দ্ধে রোগীর চাপ নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং চীনের জাতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সুপারিশ করেছে চীনের লোকেরা শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতার ঝুঁকি কমাতে যেন সঠিক ব্যবস্থা অনুসরণ করে, যার মধ্যে রয়েছে ফ্লু, কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত ভ্যাকসিন; অসুস্থ ব্যক্তিদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা; অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকা; প্রয়োজন অনুযায়ী পরীক্ষা এবং চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া; এবং উপযুক্ত মাস্ক পরা। তবে এখনও চীনে ভ্রমণকারীদের জন্য কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম তারা জারি করেনি। পরবর্তী মাসে কোভিড ১৯ এর চার বছর পূর্তি হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই মহামারীর পরিপ্রেক্ষিতে চীনা কর্তৃপক্ষের ভূমিকা ও স্বচ্ছতা নিয়ে বারে বারে ক্ষোভ প্রকাশ করে গেছে। উহানে শুরু কোভিড-১৯ এর উৎস নিয়ে এখনও বিতর্ক বিদ্যমান।