একধরনের স্পেস টেলিস্কোপ আছে যার নাম ‘লবস্টার স্পেস এক্স-রে টেলিস্কোপ’। লবস্টার বা চিংড়ি-র চোখ অনুসরণ করে স্পেস টেলিস্কোপ বানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ২০০৬ সালে এই টেলিস্কোপের কথা সামনে আনেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। মহাকাশে নানা সময় নক্ষত্রদের সংঘর্ষ, ব্ল্যাকহোলের নানা কান্ডকারখানা – এসব ঘটে চলে। টেলিস্কোপগুলি অপেক্ষা করে এসব বিরল মুহুর্তের। তবে সাধারণ টেলিস্কোপে আকাশের ক্ষুদ্র অংশের বিষয় গুলি পরিমাপ করে। সাধারণ টেলিস্কোপে মহাকাশের বিচিত্র অদ্ভুত আচরণ পরিমাপ করতে পারে না। তাই প্রয়োজন হয় স্পেস টেলিস্কোপের। স্পেস টেলিস্কোপ মহাকাশের অদ্ভুত ঘটনার এক্সরে ফোটো পাঠায়- তা নিয়েই গবেষণা করেন বিজ্ঞানীরা।
প্রশ্ন আসবে স্পেস টেলিস্কোপ বানাতে হঠাৎ লবস্টারের চোখ অনুসরণ করা হলো কেন? লবস্টার ঘোলা জলে থাকে। সেকারণে চারপাশ দেখার জন্যে তাদের চোখের বিবর্তন ঘটেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। লবস্টারের চোখ বসানো থাকে ছোটো ছোটো দণ্ডের ওপর এবং চোখের মনিগুলো হাজার হাজার টিউবে আবৃত থাকে- এগুলো আয়তন মতো কাজ করে। লবস্টার যেখানে বসে থাকে তার যেকোনো প্রান্ত থেকে আলো এসে প্রতিফলিত হয়ে এদের চোখে ঢোকে। ফলে চোখকে সেইমতো প্রসারিত করে দৃশ্যটিকে ভালো করে দেখতে পায় লবস্টার। এই কৌশলটাকেই কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞানীরা নতুন স্পেস টেলিস্কোপ বানিয়েছেন।
টেলিস্কোপটি বাঁকা তলের উপর বসানো। আর এতে রয়েছে অসংখ্য টিউব। চারিদিক থেকে টিউব গুলিতে এক্সরে প্রতিফলিত হয়ে দৃশ্য তৈরি হয়- যা গবেষণার সহায়ক হয় বিজ্ঞানীদের।