চাঁদের মাটি আর পাথর বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা আগেই জানিয়েছিলেন যে খুব অল্প পরিমাণে হলেও জলের উপস্থিতি রয়েছে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহে। কিন্তু সেই জল গেল কোথায়? গায়েব হয়ে যেতে তো পারে না!
নেচার পত্রিকার জিওসায়েন্স বিভাগে সদ্য প্রকাশিত হল এক গবেষণাপত্র। তাতে দাবি করা হয়েছে, উল্কার সাথে সংঘর্ষে চাঁদের গায়ে যেসব কাচের পুঁতির মতো উপাদান তৈরি হয়েছে, তার ভেতরেই সঞ্চিত আছে জল।
কিন্তু এতদিন এই উত্তরটা পাওয়া যাচ্ছিল না। একটা নির্দিষ্ট জায়গায় জলাধারের মধ্যে জল যে নেই সেটা পরিষ্কার ছিল। জলের একটা অংশ মনে করা হত সত্যিই মহাকাশে বাষ্পীভূত হয়ে যায়। কিন্তু চীনের পাঠানো মহাকাশযান ছাং’ই-৫ চাঁদের মাটির যে নমুনা এনেছে সেটা পরীক্ষা করে চাইনিজ অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা এই কাচের পুঁতি বা গ্লাস বিডস এর ধারনাটা করছেন।
চাঁদের মাটিতে যখন উল্কা বা গ্রহাণু এসে আছড়ে পড়ে, তখনই সেখানকার মাটির নিচে থেকে গলিত পদার্থ বেরিয়ে আসে। সেটা বাইরের তাপমাত্রায় ঠাণ্ডা হয়েই কাচের পুঁতিগুলো তৈরি হয়েছে। আর তার মধ্যেই সঞ্চিত হয়েছে জল। প্রতি গ্রাম পুঁতির মধ্যে ০.০০২ গ্রাম জল আছে, এমনই হিসেব দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।