নিউরোসায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা প্রকাশ করে যে ঘ্রাণের অনুভূতি উল্লেখযোগ্যভাবে অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের সংকেত দ্বারা প্রভাবিত হয় কিন্তু এই একই কথা দৃষ্টিশক্তি এবং শ্রবণশক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। মস্তিষ্ক সংক্রান্ত একটি জনপ্রিয় তত্ত্ব অনুসারে মস্তিষ্কের প্রধান কাজ হল পরবর্তীতে কী ঘটবে তা গণনা করা, তাই এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অপ্রত্যাশিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দেখায়। এই বিষয়ে বেশিরভাগ গবেষণা শুধুমাত্র আমরা যা দেখি তা কেন্দ্র করে ঘটেছে, যা প্রেডিক্টিভ কোডিং নামে পরিচিত, কিন্তু ঘ্রাণ বা অন্যান্য ইন্দ্রিয় একইভাবে কাজ করে কিনা তা আজও অজানা।
আমরা সকলেই অনুভব করেছি যে যখন একটি অপ্রত্যাশিত গন্ধ আমাদের নাকে আসে আমরা সাধারণত প্রতিক্রিয়া দেখাই, যেমন, কখনো আমরা কারো ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে কোনো গন্ধ পেলে আমরা তাতে প্রতিক্রিয়া জানাই। এই গবেষণায় দেখা গেছে যে গন্ধের অনুভূতি অন্যান্য ইন্দ্রিয়ের সংকেত দ্বারা প্রভাবিত হয়। গবেষকরা আরও দেখান যে যখন মস্তিষ্ক এমন গন্ধ শনাক্ত করার চেষ্টা করে যা প্রত্যাশিত নয়, তখন কাজটিতে চাক্ষুষ সংকেতের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও মস্তিষ্কের ঘ্রাণ এবং চাক্ষুষ উভয় অঞ্চলই সক্রিয় হয়ে ওঠে। মস্তিষ্কের ঘ্রাণকেন্দ্র বা ওলফ্যাক্ট্রি অঞ্চলের ঘ্রাণ প্রক্রিয়াকরণের একটি সম্পূর্ণ অনন্য উপায় রয়েছে এবং তা নির্ভর করে গন্ধটি প্রত্যাশিত কিনা তার উপর। ঘ্রাণের অনুভূতি আমাদেরকে এমন গন্ধ সম্পর্কে সতর্ক করে যা আমরা আশা করিনি এবং আমাদের মস্তিষ্ককের ভিজ্যুয়াল কেন্দ্রকে কাজ দেয় সেই গন্ধের উৎস খোঁজার। বিজ্ঞানীদের মতে কাজটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা মানুষেরা ঘ্রাণ চিহ্নিত করতে পারি না যতক্ষণ না আমরা কিছু সংকেত বা সূত্র পাই।