আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ হোক কিংবা মহাকাশের সংঘর্ষ – বিজ্ঞানীরা শক্তির মাপ দিতে ব্যবহার করেন পারমানবিক বোমার ক্ষমতা। তা গ্লোবাল ওয়ার্মিং বা বিশ্ব উষ্ণায়ন নিয়ে যখন এত চর্চা, তার ক্ষমতা কতটা? বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২৫ বিলিয়ন পারমানবিক বোমার ক্ষমতা জুড়লে যা হয়!
আঠারো শতক থেকেই মাটির গভীর থেকে জীবাশ্ম জ্বালানি খুঁড়ে তুলছি আমরা। তারপর বিদ্যুৎ উৎপাদনই হোক কিংবা মোটর চালানো সবেতেই পোড়ানো হয়ে চলেছে জীবাশ্ম জ্বালানির এই বিপুল ভাণ্ডার। আর এই কয়লা, খনিজ তেল আর প্রাকৃতিক গ্যাস পুড়িয়ে দুই ট্রিলিয়ন মেট্রিক টন কার্বন ডাইঅক্সাইড বাতাসে মিশেছে। সাথে দোসর হয়েছে অন্যসব গ্রিনহাউস গ্যাসও। তাপ ধরে রাখতে ওস্তাদ এইসব গ্যাস।
এই দহনযজ্ঞের এখনকার রিপোর্ট কার্ডটা তাহলে কেমন? শিল্পবিল্পবের আগেকার সময়ের তুলনায় পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা এখন ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। পৃথিবীর প্রাকৃতিক কার্বন চক্রের ভেতর প্রতিমুহূর্তে ঢুকে পড়ছে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উৎপন্ন কার্বন। যতটা শক্তি প্রবেশ করছে আর যতটা বেরিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর আবহমণ্ডল থেকে – সেই ভারসাম্যটাই বিগড়ে গেছে।
এই যে গোটা পৃথিবীর গড় উষ্ণতা বাড়ছে, তাতে যতটা শক্তি লাগে তার পরিমাণটা অভাবনীয়। সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, গত পঞ্চাশ বছরে ২৫ বিলিয়ন পারমানবিক বোমার শক্তি আমরা যোগ করেছি পৃথিবীতে। কিন্তু ডাঙার তুলনায় এই বাড়তি তাপের বেশিটাই হজম করেছে সমুদ্র। তাই সমুদ্রজলের উষ্ণতা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে।