গিজার জগদ্বিখ্যাত তিন পিরামিডের মধ্যে সবচেয়ে বড়োটা প্রায় সাড়ে চার হাজার বছরের পুরাতন। এই পিরামিডের ভেতরের নকশা আর স্থাপত্যটা কেমন, সে কৌতূহল বিজ্ঞানীদের আজও মেটেনি। এবার অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সরেজমিনে খুঁজে দেখা হল গিজার বৃহত্তম পিরামিডের ভেতরের রহস্য।
মহাজাগতিক মিউওন রশ্মি দিয়ে স্ক্যান করা হয়েছে এই পিরামিডকে। বোঝা যাচ্ছে আপাতভাবে এই নিরেট স্থাপত্যের ভেতর অনেকগুলো ফাঁকা কুঠুরি বা করিডরের মতো জায়গা রয়েছে। কিন্তু সেই করিডরের ব্যবহার কীভাবে হত সেটা এখনও জানা যায়নি। মিউওন রশ্মি দিয়ে ২০১৬ সালের পর এই প্রথম আবার স্ক্যান করা হল।
করিডরের অবস্থানটা পিরামিডের উত্তর দিক বরাবর। শেভ্রন গঠনের থিক পেছনে। যদিও এই উত্তরমুখো করিডরের দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা নির্ণয় করা গেছে কসমিক-রে মিউওন রেডিওগ্রাফির সাহায্যে। পিরামিডের মধ্যে সবটাই যদি নিরেট গঠন হত তাহলে কম সংখ্যক মিউওন কণা এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছতে পারত। কিন্তু তেমনটা হয়নি। অর্থাৎ, এই বিরাট স্থাপত্যের ভেতরে ফাঁপা অংশ রয়েছে। বিভিন্ন বিন্দু দিয়ে কটা মিউওন কণা গেছে, সেটা হিসেব করে পিরামিডের একটা ত্রিমাত্রিক ছবি প্রকাশ করা গেছে।
করিডরটা লম্বায় ৯ মিটার আর উচ্চতা ও প্রস্থে ২ মিটার করে। যদিও ধাঁধার জায়গাটা শুধু ঐ করিডর নয়। শেভ্রনের কাজ কী সেটাও এখনও অস্পষ্ট।
নেচার কমিউনিকেশন পত্রিকায় প্রকাশিত হল গবেষণার বিশদ খবর।