আণবিক স্তরে কোনও পদার্থের নতুন বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেতে দরকার পড়বে কোয়ান্টাম লাইটের। তেমনই উচ্চ ক্ষমতাযুক্ত কোয়ান্টাম লাইট বানানোর দিকে তাত্ত্বিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন গবেষকরা।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা মার্কিন, ইসরায়েলি আর অস্ট্রীয় গবেষকদের সাথে যৌথভাবে একটা তত্ত্বে উপনীত হয়েছেন। আলোর নতুন একটা দশা। অর্থাৎ, তরঙ্গ আর কণা ছাড়াও আলোর আরেকটা অবস্থা নিয়ে এই নতুন তত্ত্ব। বিস্তৃত তরঙ্গদৈর্ঘ্যের মধ্যে এই আলোর এমন কিছু কোয়ান্টাম গুনাগুণ রয়েছে যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হল সম্প্রতি নেচার পত্রিকার পদার্থবিদ্যা বিভাগে।
আমাদের চারপাশের পৃথিবী ও নানা ঘটনা ব্যাখ্যা করার জন্য সনাতন পদার্থবিজ্ঞান মোটামুটি নিখুঁতভাবেই কাজ করে। কিন্তু একটু তলিয়ে দেখতে গেলে, অণু পরমাণুর স্তরে ব্যাটনটা চলে যায় কোয়ান্টাম বিজ্ঞানের হাতে। যেমন, একটা বাস্কেটবলের কথাই ধরা যাক। খালি চোখে যতটা দেখা বোঝা সম্ভব সেটুকু কিন্তু সনাতন বলবিদ্যার নিয়ম মেনেই চলে। কিন্তু যেসব অণু পরমাণু দিয়ে ঐ বাস্কেটবল গঠিত, সেই আণবিক স্তরে কণাদের আচরণ কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সূত্রে চলে।
কেমব্রিজের ক্যাভেন্ডিস ল্যাবরেটরিতে গবেষণা চালিয়েছিলেন ডঃ আন্দ্রিয়া পিজ্জি। তাঁর ভাষায়, আলোর ক্ষেত্রেও এই বিভাজনটা সত্যি। সূর্যের আলো হোক কিংবা রেডিও তরঙ্গ – বেশিটাই ব্যাখ্যা করা যায় ক্লাসিকাল ফিজিক্স দিয়ে। কিন্তু মাইক্রো আর ন্যানো পর্যায়ে যে ওঠানামা আর পটপরিবর্তন ঘটে চলে সেগুলো ব্যাখ্যা করতে কোয়ান্টাম বিদ্যার প্রয়োজন। আলোর এই অদ্ভুতুড়ে কোয়ান্টাম দশাকে কাজে লাগিয়েই তৈরি হবে কোয়ান্টাম লাইট।