অনেক বড়ো তথ্য, দীর্ঘ সংখ্যাকে সহজেই ‘প্রসেস’ করতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। গণনার বিভিন্ন ধাপ যেহেতু একইসাথে সমান্তরালে চলতে থাকে। এই কম্পিউটারে তথ্যবাহক হিসেবে কাজ করে কিউবিট পদ্ধতি। কিউবিটে শুধুমাত্র শূন্য আর এক (যেমন বাইনারিতে হয়) নয়, এই দুই সংখ্যার মাঝের কোনও মান নিয়েও কাজ চলতে পারে। কিন্তু কিউবিট তৈরিতে এতদিন বিস্তর ঝামেলা পোহাতে হত।
সমস্যার সুরাহা করতে সহায় হতে পারে সুপারকন্ডাক্টিং সার্কিট বা অতিপরিবাহী বর্তনী। খুব কম তাপমাত্রায় এই অতিপরিবাহী পদার্থের মধ্যে বৈদ্যুতিক রোধ থাকে না একেবারেই। অর্থাৎ বিনা বাধায় বিদ্যুৎ প্রবাহিত হতে পারে। কিউবিটের কোয়ান্টাম দশা বজায় রাখতে এই বিশেষ বৈশিষ্ট্য খুবই দরকারি।
জার্মানির কালজরুয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির গবেষকরা অভিনব অতিপরিবাহী কিউবিট তৈরি করতে সক্ষম হলেন সম্প্রতি। কেআইটি-র অন্তর্গত কোয়ান্টাম মেটেরিয়ালস অ্যান্ড টেকনোলজিসের অধ্যাপক ডঃ ইওয়ান পোপ ব্যাখ্যা করলেন, কিউবিটের কেন্দ্রে কোয়ান্টাম তথ্য সঞ্চয়ের জায়গাটাকে বলে জোসেফসন জাংশান। এই জাংশানটাকেই উন্নত করা হয়েছে।
এমনিতে এই জোসেফসন জাংশান কেমনভাবে তৈরি হত? দুটো অ্যালুমিনিয়াম স্তরের মাঝে পাতলা অক্সাইডের পর্দা গঠন করে কোয়ান্টাম বিট পাওয়া যেত। কিন্তু কেআইটি-র বিজ্ঞানীরা তা না করে একটাই অ্যালুমিনিয়ামের স্তর ব্যবহার করেছেন কিন্তু সেটা দানাদার অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি মাত্র কয়েক ন্যানোমিটার মাপের। এই স্তর প্রোথিত থাকবে অক্সাইড ম্যাট্রিক্সের মধ্যে। তারপর এই গোটা গঠনটা জোসেফসন জাংশান হিসেবে নিজে থেকেই ত্রিমাত্রিক নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করতে শুরু করবে।