সি ও পি ডি। পুরো নাম – ক্রনিক অবট্রুসিভ পালমোনারি ডিজিজ। এটা একক কোনও রোগ নয়, বরং বলা যায় একাধিক রোগের সমন্বয়। তার মধ্যে রয়েছে এম্ফিসেমা আর ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিস। আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটা দল সম্প্রতি নতুন এক পদ্ধতির সন্ধান পেয়েছেন যার প্রয়োগে এই দুটো রোগ সারতে পারে।
সিওপিডি-তে ফুসফুসের ক্ষতি হয় এবং বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধে হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সারা বিশ্ব জুড়ে তৃতীয় মারণ ব্যাধি এই সিওপিডি। প্রতি বছর গড়ে ৩ মিলিয়নের বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এই শ্বাসঘটিত রোগে।
লাং ফাউন্ডেশন অস্ট্রেলিয়ার তরফ থেকে বলা হচ্ছে, ৪০ বা তার বেশি বয়েসি ১৩ জন অস্ট্রেলীয় নাগরিকের মধ্যে গড়ে মোটামুটি একজন আক্রান্ত হন এই রোগে। এদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি মানুষ জানেনই না তারা এই রোগের শিকার। অস্ট্রেলিয়ার ভূমিপুত্রদের মধ্যে এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা আড়াই গুণ বেশি। যদিও সিওপিডি সংক্রামক নয়।
ধূমপান ছেড়ে দেওয়া, জীবনযাত্রার ধরণ পাল্টানো কিংবা চালু পদ্ধতিতে চিকিৎসা করলে রোগের বাড়বাড়ন্ত কিছুটা কমে। কিন্তু পুরোপুরি ঠিক কখনই হয় না।
এই অবস্থায় গবেষকরা একটা এনজাইমের সন্ধান পেয়েছেন – রিসেপ্টর ইন্টারঅ্যাক্টিং প্রোটিন কাইনেজ ১। এই উৎসেচকের মাত্রা সিওপিডি-তে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফুসফুসে বেড়ে যায়। এই এনজাইমকে নিবারন করতে পারলে যে কাজ দেবে তা ইঁদুরের দেহে প্রমান করে দেখিয়েছেন গবেষকরা।
ইউরোপিয়ান রেসপিরেটরি জার্নালে প্রকাশিত হল এই গবেষণার খবর।