একবারে ২৪ জনকে ভেজায় হাতি

একবারে ২৪ জনকে ভেজায় হাতি

বিজ্ঞানভাষ সংবাদদাতা
Posted on ১১ আগষ্ট, ২০২১

হাতির শুঁড়ের মধ্যে দিয়ে হাওয়া চলে ঘন্টায় ১০০ মাইল বেগে! জল ছেটানোর সময় হাতি তার নাককে প্রসারিত করতে পারে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, তাতেই হাতির শুঁড়ের শক্তি বাড়ে। আটলান্টার চিড়িয়াখানায় একটি ৩৪ বছরের হাতি ওখানকার ইঞ্জিনিয়ারদের সম্প্রতি শেখাল কীভাবে জল ছেটাতে হয়! হাতির শুঁড় কিন্তু সাধারণ স্ট্র-এর কাজ করে না। সে শুঁড় দিয়ে পুরো জলটাকে টেনে নেয়। তারপর তার সেই শুঁড় সে বাড়াতে থাকে। তারপরই দেখা যায় তার বিশাল হাঁচি, যেখান থেকে বেড়ে যায় তার জল ছেটানোর ব্যাপ্তি। হাতির শুঁড়ের মধ্যেই রয়েছে দুটো নাসারন্ধ্র। কিন্তু প্রকান্ড সেই শুঁড় কীভাবে হাতি খাওয়ার জন্য ব্যবহার করে তা নিয়ে বরাবরই একটা রহস্য থেকে গিয়েছে।
সম্প্রতি সেই নিয়ে গবেষণায় নেমেছিলেন জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের গবেষকেরা। আল্ট্রা-সাউন্ড ইমেজে দেখা গিয়েছে, হাতি তার নাসারন্ধ্রটি বেলুনের মতো ফোলাতে পারে। যদিও ফোলানোর পর সেই অতিরিক্ত জায়গার কম অংশই ব্যবহার করে হাতি। তা সত্বেও শুরুতে তার জল নেওয়ার পরিমাণ থাকে প্রায় ৫ লিটার। সেটা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। শুঁড়ের মধ্যে দিয়ে জলের চলার বেগও লক্ষণীয়, সেকেন্ডে ৩.৭ লিটার! গবেষকরা জানিয়েছেন, কোনও এক মুহুর্তে একটা হাতি প্রায় ২৪জন মানুষের গায়ে জল ছেটাতে সক্ষম! ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল দেখেছেন, অত ছোট্ট নাসারন্ধ্র হলেও তার মধ্যে দিয়ে কখনও কখনও হাওয়ার বেগ ঘন্টায় ৩৩৫ মাইল অব্দিও পৌঁছে যায়। এই গতির পরিমাণ বোঝার জন্য একটি উদাহরণ দেওয়া যাক, একজন মানুষের নাক ডাকার সময় হাওয়ার যে গতি থাকে তার চেয়ে ৩০ গুণ বেশি হাতির শুঁড় থেকে নির্গত হাওয়ার গতি !

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *