মহাজাগতিক রশ্মি প্রতি মুহূর্তেই আছড়ে পড়ছে পৃথিবীর বুকে। সূর্য বা বড়ো কোনও সুপারনোভার বিস্ফোরণে সৃষ্টি হওয়া অদৃশ্য অবপারমাণবিক কণার স্রোত এইসব রশ্মি। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার সাথে সাথেই এইসব উচ্চশক্তির কণার সাথে পরমাণুর সংঘর্ষে দ্বিতীয় ক্রমের মহাজাগতিক রশ্মির জন্ম হয়। এই সেকেন্ডারি কসমিক রশ্মির ক্ষমতা অতি বিরল।
খনিজের মধ্যে থাকা মৌলকে আমূল বদলে দেওয়ার ক্ষমতা ধরে দ্বিতীয় ক্রমের মহাজাগতিক রশ্মি। যেমন, অক্সিজেন পাল্টে তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের জন্ম হয়। বেরিলিয়াম-১০ কিংবা কার্বন-১৪। কতদিন একটা খনিজ পাথরের খণ্ড পৃথিবীপৃষ্ঠে উন্মুক্ত ছিল, সেটা নির্ণয় করতে পদার্থের মধ্যে তেজস্ক্রিয় পরমাণুর ঘনত্ব বিচার করতে হয়।
তেমনই, নদী থেকে সংগ্রহ করা এক কিলোগ্রাম বালি থেকেই অনেকটা ইতিহাস উন্মোচন করা সম্ভব। তাতে, পৃথিবীর উপাদান ক্ষয়ের হার কিংবা পলির পরিমাণ – পার্থিব প্রক্রিয়াগুলোর রহস্য ভেদ করা যাবে।
আর্জেন্টিনায় আন্দিজ পর্বতমালায় এমনই এক পরীক্ষা করলেন বিজ্ঞানীরা। পাহাড়ের ধাপে ধাপে কতটা পদার্থ জমে আছে আর কতটা নদীখাতে বয়ে গেছে তার হিসেব করাই ছিল গবেষকদের লক্ষ্য। তা থেকে ভূমিধ্বসের আগাম আন্দাজ মেলা সম্ভব। এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তনে ভূভাগের কতটা পরিবর্তন ঘটছে সেটাও নির্ণয় করা যাবে।