ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) ২০১৯ সালের হিসেবে ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৪.৫% মানুষ অপুষ্টিতে ভোগেন। ৫১.৪% মহিলা যাঁদের বয়স ১৫ থেকে ১৯, তাঁরা ভোগেন রক্তাল্পতায়। পাঁচ-বছরের নিচে বয়স, এমন ৩৭% শিশুর শারীরিক বৃদ্ধির হার অতি কম। তার মধ্যে ২০% বাচ্চার ওজন আবার ‘স্বাভাবিক’-এর থেকে অনেক কম।
অর্থনীতিতে মানুষের জীবনযাপনের মানের খুব সাধারণ যে হিসেবটা করা হয়, তার নাম হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইন্ডেক্স। সেই ইন্ডেক্সে কিন্তু ভারত বিশ্বে মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থান করছে। যেখানে উত্তর গোলার্ধের বেশিরভাগ দেশ, দক্ষিণ গোলার্ধের অস্ট্রেলিয়া, ইত্যাদির স্কোর ০.৮ থেকে ১, অর্থাৎ অতি-উচ্চ, এবং চিন ইত্যাদি দেশের অবস্থা উচ্চ অর্থাৎ ০.৭ থেকে ০.৭৯৯, সেখানে ভারত ০.৫৫৫ থেকে ০.৬৯৯ অর্থাৎ মাঝারি। আবার সেই সঙ্গে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী/ক্রেতার সংখ্যার হিসেবটাও নজরে রাখার মতো। সেখানে চিন সবার ওপরে। সে দেশে ৮৫ কোটিরও বেশি লোক স্মার্টফোনের ক্রেতা। ভারত ৩৪ কোটির ওপর ক্রেতা নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। আমেরিকা তৃতীয় স্থানে, স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা সেখানে ২৬ কোটির ওপরে। মোট সংখ্যার সাপেক্ষে ক্রেতার সংখ্যা বিচার করে লাভ হয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর। আমাদের তাকাতে হবে, মোট জনসংখ্যার নিরিখে ক্রেতার সংখ্যার বিচারের দিকে। সে-বিচারে ২০১৮ সালে দেখা গেছে, ভারত স্মার্টফোন ব্যবহারকারী দেশ হিসেবে ৪০ নম্বরে। কারণ ভারতের মোট জনসংখ্যার ২৭.৭% মানুষ স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, মোট ক্রেতার সংখ্যা ৩৭ কোটির চেয়ে একটু বেশি। কী অদ্ভুত, না!